পেরেরার জন্য ক্ষতিপূরণ চায় শ্রীলঙ্কা
একটি ভুল দোষারোপে প্রায় শেষই হয়ে গিয়েছিল কুশল পেরেরার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। অবশেষে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের পদক্ষেপে ভুল প্রমাণিত হয়েছে নিষিদ্ধ ওষুধ নেয়ার অভিযোগ। তবে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে পাঁচটি মাস হারিয়ে ফেলেছেন এই লঙ্কান ক্রিকেটার। বিশ্ব মাদকবিরোধী সংস্থার এমন ভুলের জন্য তাই প্রতিষ্ঠানটির কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড; এ ব্যাপারে সমর্থন দিচ্ছে আইসিসিও।
গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার নিউজিল্যান্ড সফরে বিশ্ব মাদকবিরোধী সংস্থা কুশল পেরেরাকে ডোপ টেস্টে ‘পজিটিভ’ বলে ঘোষণা করে। ফলে নিউজিল্যান্ড সফর, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ, এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দর্শক হয়েই থাকতে হয়েছে এই লঙ্কান উইকেট কিপারকে। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কান বোর্ডের তৎপরতায় আরো কিছু পরীক্ষানিরীক্ষায় ভিন্ন ফল আসে এবং আইসিসির নিষিদ্ধ ওষুধ গ্রহনের অভিযোগ থেকে রেহাই পায় পেরেরা।
কুশল পেরেরাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে লঙ্কান বোর্ডের খরচ হয়েছে প্রায় এক লক্ষ ডলার। আর সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টুর্নামেন্টে পেরেরাকে না পাওয়ায় ‘পরোক্ষ’ ক্ষতি তো ছিলই। এসব দিক বিবেচনা করেই বিশ্ব মাদকবিরোধী সংস্থার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করবে লঙ্কান বোর্ড। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে না বললেও বোর্ড প্রেসিডেন্ট থিলাঙ্গা সুমাথিপালা জানিয়েছেন, “ক্রিকেটবিশ্বে এর আগে কেউ পায়নি এমনই হবে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ!”
গত মে মাসে পেরার ঘটনাটিকে বিরল বলে অ্যাখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আইসিসি’র প্রধান নির্বাহী জানান, “পেরেরাকে যা সহ্য করতে হয়েছে তাঁর জন্য আমরা দুঃখিত। এই সময়টায় সে নিজেকে যেভাবে সামলে রেখেছে তাঁর জন্য সে প্রশাসার দাবিদার। আমরা এটা স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে পেরেরা কোন নিষিদ্ধ ওষুধ সেবন করেছিল বলে কোন প্রকার প্রমাণ নেই। এবং ক্রিকেটে তাঁর ভবিষ্যতের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
কাতারের একটি বিশেষায়িত পরীক্ষাগারে মূলত বিশ্ব মাদকবিরোধী সংস্থার ডোপিং টেস্টগুলো করা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই আইসিসি বিশ্ব মাদকবিরোধী সংস্থা ও কাতারের ঐ ল্যাবের নিকট কৈফিয়ত জানতে চেয়েছে। তবে ডোপ টেস্টের ল্যাবরেটরির দাবি তাঁদের দেয়া ফলাফলে কোন ভুল ছিল না। বরং টেস্টের ফলাফলের ব্যাখ্যাকেই দোষারোপ করছে তাঁরা।