• " />

     

    ফিরেই সেরা নারাইন

    ফিরেই সেরা নারাইন    

    দিবা-রাত্রির ওয়ানডে ফিরলো ওয়েস্ট ইন্ডিজে। অবৈধ অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়া সুনীল নারাইন ফিরলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। গায়ানার ফ্লাডলাইটের রোশনাই কেড়ে নিলেন ফিরেই। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে করলেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।

     

    গত বছরের ৭ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডেতে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এরপর ল্যাব টেস্ট, সুনীল নারাইনকে নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে নিজেকে শেষ মুহুর্তে সরিয়ে নিয়েছিলেন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আরও কাজ করবেন বলে। আইপিএল শুরুর দুইদিন আগে অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হলো। আইপিএল খেলার পর ওয়ানডে স্কোয়াডেও ফিরলেন নারাইন।

     

    দ্বিতীয় ওভারে হাশিম আমলাকে ফেললেন এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে, আমলা একটু বেশীই ‘অ্যাক্রস দ্য লাইন’ খেলতে গিয়েছিলেন। ৭ম ওভারে ফেরালেন দুজনকে, আফ্রিকান ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোরার রাইলি রুশো টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে দিলেন স্লিপে ক্যাচ। এক বল পর আবার এলবিডাব্লিউ, এবার শিকার ফারহান বেহারদিন। ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে হয়নি ফারহানের।

    ৯ম ওভারে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ক্রিস মরিস, রিভিউ করেও রেহাই পেলেন না। ১০ম ওভারে পূর্ণ করলেন ‘ফাইভ-ফার’, অ্যারন ফাংগিসোর উইকেটটাতে অবশ্য যথেষ্ট কৃতিত্ব আছে জ্যাসন হোল্ডারের, শর্ট এক্সট্রা কাভারে ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিয়েছেন অসাধারণ এক ক্যাচ। নারাইনের ৬ষ্ঠ উইকেটে অবশ্য ‘কৃতিত্ব’ আছে আম্পায়ার জোয়েল উইলসনের, ইমরান তাহিরকে যে এলবিডাব্লিউ দিয়েছেন, হক-আই দেখাচ্ছিল বল বেরিয়ে যাচ্ছে লেগ স্ট্যাম্প দিয়ে।

     

    নারাইন কাজে লাগিয়েছেন প্রভিডেন্সের নীচু, ধীরগতির উইকেটকে, দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেছে ১৮৮ রানেই। তবে উইকেট দেখে বোধহয় হাত নিশপিশ করছিল তাহির, ফাংগিসোদেরও।

     

    দ্বাদশ ওভারে তাহিরকে এনেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, চতুর্থ বলেই তাঁর গুগলিতে বোকা বনেছেন আন্দ্রে ফ্লেচার। নিজের চতুর্থ ওভারে জনসন চার্লসকেও গুগলিতে ধোঁকা দিয়েছেন তাহির। আর অ্যারন ফাংগিসো ফিরিয়েছেন মারলন স্যামুয়েলস, ড্যারেন ব্রাভো ও কার্লোস ব্রাথওয়েটকে।

    দক্ষিণ আফ্রিকা আরেকটি যে উইকেট পেয়েছে, সেটিও নিয়েছেন আরেক স্পিনার, জেপি ডুমিনি। শেষ পর্যন্ত ফারহানকে বোলিংয়ে এনেও নারাইনের মতো ওয়ানডে স্কোয়াডে ফিরে আসা কাইরন পোলার্ডকে ফেরাতে পারেননি এবি ডি ভিলিয়ার্স। চতুর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে ১০০ ছয় মারা পোলার্ড ম্যাচ জিতিয়েই ফিরেছেন ৬৭ রান করে।

     

    ২০১৪ সালের পর প্রথম, সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এটি ছিল চতুর্থ দিবা-রাত্রির ওয়ানডে। যেখানে আলো কেড়েছেন স্পিনাররা, তবে সবচেয়ে বেশী কেড়েছেন তো সুনীল ফিলিপ নারাইন!