• " />

     

    ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

    ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া    

    ২৪ বলে দরকার ৩০ রান। কার্লোস ব্রাথওয়েটকে কাভারে খেললেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, সহজতম ফিল্ডিংটা মিস করলেন স্যামুয়েলস! বল হলো চার। ওই ওভারে মোট এলো ১৭ রান। স্যামুয়েলসকে ফাঁকি দিয়ে যাওয়া ওই বলটার মতো করেই অস্ট্রেলিয়া যেন চলে গেল ফাইনালে, স্যামুয়েলসের সেঞ্চুরি করা ম্যাচটা জিতেই!

     

    শেষে এসে জেমস ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ো ইনিংসটা ক্যারিবীয়দের আশাটা মিলিয়ে নিয়ে গেল। এর আগে স্টিভেন স্মিথ ও মিচেল মার্শের ১২২ রানের জুটিতে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ(৭৮) ফিরে গেলেও ছিলেন মার্শ, অপরাজিত ৭৯ রানে।

     

    টসও জিতেছিলেন স্মিথ। ৫০তম ওয়ানডে খেলতে নামা মিচেল স্টার্ক অধিনায়কের মুখে হাসির ঝিলিক এনে দিয়েছেন চতুর্থ বলেই। জনসন চার্লস আউট হয়েছেন কোনো রান না করেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরেও তখন শুন্য! এরপর ড্যারেন ব্রাভো ফিরেছেন, তাঁকে অনুসরণ করেছেন আন্দ্রে ফ্লেচারও। ৩১ রান, নেই ৩ উইকেট। মারলন স্যামুয়েলস ও দীনেশ রামদিনের ম্যাচ সর্বোচ্চ ১৯২ রানের জুটিটাও তখনোই! রামদিন সেঞ্চুরি পাননি, ৯১ রান করে বোল্ড হয়েছেন স্টার্কের বলেই।

    তবে পেয়েছেন স্যামুয়েলস। দশম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে ৫০০০ রানের মাইলফলকও পেরিয়েছেন। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২৮২।

     

    ম্লান হয়ে গেছে স্যামুয়েলসের উল্লাস! 

     

    মোটামুটি শুরুর দিকে ধাক্কা খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও। ৩৫ রানে জোড়া ধাক্কা, প্রথমে ফিঞ্চ, এরপর খাওয়াজা। এরপর ফিরেছেন বেইলি। তারপর স্মিথ ও মার্শের জুটি। তারপর ম্যাক্সওয়েল ঝড়। এ সিরিজে এর আগে খেলেছেন তিন ম্যাচ, ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন দুইবার। দুই ইনিংস মিলিয়ে রান ছিল মোটে ৩। দলে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকা ম্যাক্সি যেন নিজেকে প্রমাণ করতেই নেমেছিলেন এদিন! ৫টি চার, ২টি ছয়, এর মধ্যে একটা আবার সুনীল নারাইনকে সুইচ হিট করে!

     

    ম্যাক্সওয়েলের সুইচ হিটের জবাব পাননি নারাইন, পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পরের ম্যাচটা তাই বাঁচা-মরার, ফাইনালে উঠতে যে ম্যাচ জিততেই হবে তাঁদের। পরীক্ষা বটে!

    যেরকম পরীক্ষায় পাশ করে গেল অস্ট্রেলিয়া, বার্বাডোজে!