• " />

     

    এই ম্যাচ হারলো দ. আফ্রিকা!

    এই ম্যাচ হারলো দ. আফ্রিকা!    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ অস্ট্রেলিয়া ২৮৮/৬, ৫০ ওভার (ওয়ার্নার ১০৯, উসমান খাজা ৫৯, স্টিভ স্মিথ ৫২*; ইমরান তাহির ২/৪৫); দ. আফ্রিকা ২৫২/১০, ৪৭.৪ ওভার (ডু প্লেসি ৬৩, হাশিম আমলা ৬০; মিচেল স্টার্ক ৩/৪৩, হ্যাজলউড ৩/৫২)

     

    ফলঃ অস্ট্রেলিয়া ৩৬ রানে জয়ী

     

    ম্যাচসেরাঃ ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)


     

    সেন্ট কিটসের বাসেটেরে মাঠটার নাম ওয়ার্নার পার্ক। ডেভিড ওয়ার্নার কাল সেখানে খেলতে নেমেছিলেন প্রথমবারের মতো। আর ‘মিতা’র মাঠে অভিষেকটাও হল মনে রাখার মতোই। ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলমান ত্রিদেশীয় একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে গিয়ে প্রথম শতকটা এলো অজি ওপেনারের ব্যাট থেকেই। অবশ্য দ. আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৬ রানের ‘কামব্যাক’ জয়ের জন্য সেটুকুই যথেষ্ট ছিল না, মাত্র ৪২ রানে প্রোটিয়াদের শেষ ৭ উইকেট তুলে নিয়ে জয়টা লিখেছেন মূলত অস্ট্রেলিয়ার বোলাররাই। উল্টোভাবে এমন ম্যাচ হেরে যাওয়ার 'কৃতিত্ব' দেয়া যায় দ. আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদেরও!

     

     

    গায়ানার ধীরগতির, স্পিন-সহায়ক উইকেটে প্রথম তিন ম্যাচে কোনো দলের সংগ্রহই দু’শোর ঘর পেরোতে পারে নি। বাসেটেরের শক্ত মাটি, ছোট সীমানা দু’শো কেনো, তিনশোর আভাসও দিচ্ছিল। টস জিতে তাই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাবেন নি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। দলীয় ৪৮ রানে অ্যারণ ফিঞ্চ ফিরে গেলেও ওয়ার্নার-উসমান খাজা জুটিতে বড় সংগ্রহের পথেই হাঁটে অস্ট্রেলিয়া। দেশের বাইরে প্রথম শতকটি (১০৯) ওয়ার্নার সাজান ১১ চার ও ২ ছয়ে। সাথে খাজার অর্ধশতক (৫৯) আর অধিনায়ক স্মিথের অপরাজিত ৫২ রান নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ পৌঁছে দেয় ২৮৮ রানে।

     

    আমলা-ডু প্লেসি-ডি ভিলিয়ার্সদের লাইন আপের জন্য লক্ষ্যটা আহামরি মনে হচ্ছিল না মোটেও। ডি কককে একটু তড়িঘড়ি ফেরানো গেলেও আমলা-ডু প্লেসির জুটি ভাঙতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে স্টার্ক-হ্যাজলউডদের। ২৬ ওভারের খেলা যখন চলছে, দ. আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে রান ১ উইকেটে ১৪০। হ্যাজলউডের বলে কাভারে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে আমলাকে (৬০) ফেরান স্মিথ। ক’ ওভার বাদে ডু প্লেসিকে (৬৩) রিভার্স সুইংয়ে পরাস্ত করেন স্টার্ক। সেই রিভার্স সুইংয়েই হ্যাজলউডের শিকার ডি ভিলিয়ার্স (৩৯)।

     

    জয়টা তখনও প্রোটিয়াদের হাতের মুঠোতেই। ১৯ ওভার থেকে প্রয়োজন ১১১ রান, হাতে ৭ উইকেট (ভিলিয়ার্সেরটি সহ)। কিন্তু বিধি বাম, বাকিটা আক্ষরিক অর্থেই এক ‘ব্যাটিংধ্বস’-এর গল্প। সেই ৭ উইকেট হারাতে হয় মাত্র ৪২ রানে। শেষ ছয় ব্যাটসম্যান রানের খাতায় দু’ অংকে পৌঁছতে পারেন নি। ১৪ বল হাতে রেখে ২৫২ রানে অল-আউট দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন স্টার্ক, হ্যাজলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।

     

    তিন ম্যাচ থেকে অস্ট্রেলিয়ার জয় এখন দুটিতে। সমপরিমাণ ম্যাচ খেলে দ. আফ্রিকার জয় একটিতে। আর দুই ম্যাচ থেকে এক জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।