• " />

     

    বিতর্কের নাম 'আম্পায়ারস কল'

    বিতর্কের নাম 'আম্পায়ারস কল'    

    জীবন আর মৃত্যুর পার্থক্যটা কতখানি?

    ক্রিকেটে যদি জীবন মৃত্যুর ‘উপমা’টা আনতে চান, তবে ব্যাটসম্যানের উইকেটে থাকা আর আউট হওয়াটা উল্লেখ করা যায়। আউট হতে গিয়েও না হলে তাই সেটাকে ‘জীবন’ পাওয়া বলে। জনি বেইরস্টো কাল একবার ক্যাচ তুলেও বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে আরেকবার ‘প্রায়’ জীবন পেয়েছিলেন এলবিডাব্লিউ হওয়া থেকে। ‘প্রায়’ শব্দটা ব্যবহার করতে হচ্ছে, কারণ, ডিআরএস বা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম অনুযায়ী তিনি নট-আউটই ছিলেন, তবে পার্থক্যটা যে ছিল সূক্ষ্ণ, মিলিমিটার ব্যবধানের!

     

    ৫৬ রানে শামিন্দা এরাংগার বলটা মিস করেছিলেন, প্যাডে লাগলো বল, আম্পায়ার এস রভী আউট দিলেন না। শ্রীলঙ্কানরা রিভিউ নিলো, বল ট্র্যাকিং এ হক-আই দেখালো ওই মিলিমিটারের পার্থক্য। হলো ‘আম্পায়ারস কল’, বেঁচে গেলেন বেইরস্টো। তখন বেইরস্টো আউট হলে ইংল্যান্ডের স্কোর হতো ৬ উইকেটে ১৮২, টেস্টের গতিপথটাও নিশ্চয়ই বদলে যেত।

    সেটা হয়নি। তবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুমার সাংগাকারা।

    ‘আম্পায়ারস কল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আইসিসির এটাই উপযুক্ত সময়। বল যদি উইকেটে লাগে, তবে সেটা আউটই হওয়া উচিৎ, আম্পায়ারস কল যেটাই হোক না কেন!’

    প্রযুক্তিকে ঠিকঠাকমতো কাজে লাগানো হচ্ছে না বলেও মত লঙ্কান কিংবদন্তির, ‘প্রযুক্তিকে এমনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে সেটা আম্পায়ারের ভুলের একটা অজুহাত হতে পারে। সঠিক সিদ্ধান্তটা আনতেই এটা ব্যবহার করা উচিৎ।’

     

     

    বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলার জন্য স্ট্যাম্পে বলের ৫০ শতাংশের বেশী লাগতে হবে। সাংগাকারার মতে, এই মানটা হওয়া উচিৎ ২০ শতাংশ।

    অবশ্য সাঙ্গার সাবেক সতীর্থ মাহেলা জয়াবর্ধনের মতে, এই মানটা হওয়া উচিৎ ২৫ শতাংশ। এমসিসির আইনে বলা আছে, বল উইকেটে হিট করলেই আউট হবে, কিন্তু ডিআরএসের কারণে এ জিনিসটা থেকে যেন গা বাঁচিয়ে চলা হচ্ছে!

    আর আম্পায়ারস কলে উইকেটে বল হিট করার মান যদি ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়, প্রায় ৮০ শতাংশ সিদ্ধান্ত বদলে যেতে পারে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য টেলিগ্রাফ।

     

    জয়াবর্ধনে আইসিসির ক্রিকেট কমিটির মিটিংয়ে এসব কথাই বলেছেন। এ মাসে আইসিসির বার্ষিক সভায় জয়াবর্ধনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে, যদি তা গৃহীত হয়, তবে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই কার্যকর হতে পারে তা।  

    ক্রিকেট ব্যাটসম্যানের ‘জীবন-মৃত্যুর’ পার্থক্যটা তাহলে সূক্ষ্ণই হবে আরও!