জামাইকায় জাকেরের হুংকার, তাইজুলের ঘূর্ণি
২য় টেস্ট, কিংস্টন (টস - বাংলাদেশ/ ব্যাটিং)
বাংলাদেশ - ১৬৪ ও ২৬৮ (অনিক ৯১, সাদমান ৪৬, মিরাজ ৪২, রোচ ৩/৩৬, আলজারি ৩/৭৭, শামার ২/৮০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ - ১৪৬ ও ১৮৫ (হজ ৫৫, ব্র্যাথওয়েট ৪৩, গ্রিভস ২০, তাইজুল ৫/৫০, হাসান ২/২০, তাসকিন ২/৪৫)
ফলাফল - বাংলাদেশ ১০১ রানে জয়ী
সেঞ্চুরি পাননি, তবে জ্যামাইকা ঠিকই জয় করে ফেললেন জাকের আলী অনিক। সেঞ্চুরির চেয়েও মূল্যবান এক ইনিংসে জয়ের যে রাস্তাটা গড়ে দিয়েছিলেন, সেই পথ মাড়িয়েই পেসারদের সঙ্গী করে জয়টা এনে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশ তাই টেস্ট সিরিজ শেষ করল ১-১ সমতায়।
দিনের শুরুটা বাংলাদেশের খুব একটা মনঃপুত হয়নি। আলজারির বাউন্সারে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে তাইজুল ফিরলে আরও একবার রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে আশরাফুলকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন, কিং পেয়ার দিয়ে রেকর্ডটা নতুন করে লেখালেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট ডাকের (১৮) রেকর্ডের পাশে এখন নামটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের! মুমিনুল ফেরার পর শঙ্কাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তবে একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে সেখান থেকেই ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অনিক।
হাসান, তাসকিনকে যথেষ্ট স্ট্রাইক দিয়েছেন, তাদের ওপর ভরসা করেছেন। তবে নিজে যখন ব্যাট হাতে নিয়েছেন ক্যারিবিয়ান পেসারদের চোখে চোখ রেখে লড়েছেন, বাউন্সারের জবাব দিয়েছেন হুক, পুলে। আলজারি, শামারদের মাঠছাড়া করে জাকের যেন ঘোষণা দিলেন জ্যামাইকার মাটিতে - টেস্ট আঙিনায় তিনি থাকতেই এসেছেন! এর মাঝে চোট পেয়ে ভুগতে থাকা রোচ দেখালেন চমক। পুরো দ্বিতীয় ইনিংসে মোটে ১০ ওভার করেছেন; তার মাঝে হাসান ও তাসকিনের উইকেট নিয়ে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন।
তবে অন্য প্রান্তে অবিচল অনিক চালিয়ে গিয়েছেন তার আক্রমণ। শেষমেশ ফিরলেন বাউন্সারে, তবে আক্রমণ করতে গিয়ে - যেমনটা করে গিয়েছেন পুরো ইনিংস জুড়ে। অফ স্টাম্পের বাইরে আলজারির বাউন্সারটা পুল করে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে মারতে গিয়েই ধরা পড়ে যান। তবে ৮ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো ১০৬ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাসটা যেন সেখানেই জুগিয়ে দিয়েছেন।