• বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর, ২০২৪
  • " />

     

    কিংস্টন জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের যত রেকর্ড

    কিংস্টন জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের যত রেকর্ড    

    জ্যামাইকার কিংস্টনে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সিরিজ ড্র করেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। দ্বিতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত ও দলীয় বেশকিছু রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেসব-

    উইন্ডিজের মাটিতে ১৫ বছর প্রথম টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। টানা পাঁচ টেস্ট হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছে দল। যেখানে মূল অবদান তাইজুল ইসলাম, জাকের আলী ও নাহিদ রানার।

    প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের কমে অলআউট হয়েও এই প্রথম টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। আগের রেকর্ডটা ২২০ রানের। ২০১৬ সালে মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ২২০ রানে অলআউট হয়েও শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে ১০৮ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১০১ রানে জয় টেস্টে রানের হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। আগের রেকর্ড ছিল ৯৫ রানে, ২০০৯ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজে এ নিয়ে তিনটি টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। দেশের বাইরে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টেস্ট জিতল ক্যারিবিয়ানেই। দেশের বাইরে বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে ৯টি। পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে দুটি করে। এছাড়া নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকার বিপক্ষে একবার করে জিতেছে বাংলাদেশ।

    টেস্টে এটি বাংলাদেশের ২২তম জয়। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫০তম। বাংলাদেশ তিন সংস্করণ মিলিয়ে মোট ৭৭০টি ম্যাচ খেলেছে।

    এ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আলো ছড়িয়েছেন উইন্ডিজের জেইডেন সিলস। ১৫.৫ ওভারে পাঁচ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। তার ইকোনমি রেট ছিল ০.৩১। যা এক ইনিংসে অন্তত ৯০ ডেলিভারি করেছেন, এমন পেসারদের মধ্যে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের কীর্তি। আর পেস-স্পিন মিলিয়ে এ শতাব্দীতে এক ইনিংসে ন্যুনতম ১৫ ওভার করা বোলারদের মাঝে এটাই সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড।

    দ্বিতীয় ইনিংসে মেইডেন ফাইফারের স্বাদ পান নাহিদ রানা। পঞ্চম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে উইন্ডিজে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। অন্যদিকে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচে জোড়া ডাক মেরেছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ফরম্যাটেও সর্বোচ্চ ১৮ ডাকের রেকর্ড এখন তার।

    তৃতীয় ইনিংসের হিরো জাকের আলী ৯১ রানের ইনিংস খেলার পথে পাঁচটি ছয় মারেন। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৪টি। ২০১২ সালে মিরপুরে নাসির হোসেন যা করেছিলেন।

    আলজারি জোসেফকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন জাকের আলী। এর মাধ্যমে মাত্র দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম ৩ টেস্টের সবগুলোতেই ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে টানা তিন ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন জাকির হাসান।

    চতুর্থ দিনের মর্নিং সেশনে বাংলাদেশের ৭৫ রানের মাঝে জাকের একাই করেন ৬২ রান। বাংলাদেশের ১১তম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হয়েছেন জাকের আলী। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারবার নব্বইয়ে ঘরে আউট হয়েছেন মুশফিক।

    চলতি বছর টেস্টে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ শতাধিক রান করার পাশাপাশি ন্যুনতম ৩০ উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ বছর টেস্টে ব্যাট হাতে মিরাজের সংগ্রহ ৬১৪ রান, বল হাতে নিয়েছেন ৩১ উইকেট।

    এই সিরিজে বাংলাদেশের পেসাররা উইকেট শিকার করেছে ২৫টি। যা টেস্টে বাংলাদেশের রেকর্ড। এর আগে দুবার এক সিরিজে সর্বোচ্চ ২১ উইকেট পেয়েছিলেন পেসাররা।

    ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে ও ২০২৪ সালে পাকিস্তান সফরে পেসাররা ২১টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। এছাড়া এ বছর শ্রীলংকা সফরে ২০টি ও গত বছর পাকিস্তান সফরে পেসাররা ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন।

    তাইজুল চতুর্থ ইনিংসে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন, যা তার ১৫তম ফাইফার। বিদেশের মাটিতে চতুর্থ ও ক্যারিবিয়ানে প্রথম। দেশের বাইরে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং এখন তাইজুল ইসলামের। তিনি ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। আগের সেরা মাহমুদউল্লাহর, ২০০৯ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫/৫১।

    বাংলাদেশের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টেস্টে সিরিজসেরা হলেন তাসকিন আহমেদ। প্রথমজন রবিউল ইসলাম ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়েতে। দুজনের কেউই একবারও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হননি।