পরিসংখ্যানের পাতায় বাংলাদেশ-উইন্ডিজ প্রথম ওয়ানডে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১১টি ওয়ানডে ম্যাচ অপরাজিত ছিল বাংলাদেশ। তবে সেটি ভেঙেছে রোববার। স্বাগতিকদের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে মেহেদী মিরাজের দল। হেড টু হেডে এতদিন সমান থাকলেও আবার এক ম্যাচ বেশি জিতে এগিয়ে উইন্ডিজ।
ব্যাটিং পিচে অধিনায়ক মিরাজের ধীরগতির ইনিংস বাংলাদেশকে কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে। তিনবার জীবন পেয়ে ৭৪ রান করেন তিনি। কিন্তু এতেই খেলেন ১০১ বল। অন্যদিকে উইন্ডিজের শেরফান রাদারফোর্ড ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন ৮০ বলে।
এটি ছিল ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মিরাজের পঞ্চম ফিফটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডেতেও ফিফটি পেয়েছিলেন তিনি। সেই ম্যাচেও অধিনায়ক ছিলেন মিরাজ। অধিনায়ক হিসেবে তাই ওয়ানডেতে টানা দুই ফিফটিতে অভিষেক হলো মিরাজের।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ওয়ানডেতে এর আগে সর্বোচ্চ ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের নজির ছিল। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ ২৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে রেকর্ডটি নিজেদের করে নিয়েছে ক্যারিবীয়রা। অর্থাৎ এই মাঠে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে স্বাগতিকরা।
এর বাইরে ম্যাচের নায়ক রাদারফোর্ড টানা পাঁচটি ওয়ানডেতে পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন। চতুর্থ ক্যারিবিয়ান হিসেবে এ রেকর্ড গড়েন তিনি। রাদারফোর্ডের আগে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন যথাক্রমে গর্ডন গ্রিনিজ, ক্রিস গেইল ও শাই হোপ।
গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই ইনিংস খেলার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০ ছক্কা পূর্ণ করলেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। সবোর্চ্চ ছক্কার রেকর্ডটি আগে ছিল তামিম ইকবালের। ১৮৮টি ছক্কার মালিক এই ওপেনার। তামিম খেলেছেন ৪৪৮ ইনিংস। আর ৪৩০ ইনিংসে এই ২০০ ছক্কা মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এখনও তামিমেরই। টেস্টে তার ছক্কা ৪১টি, ওয়ানডেতে ১০৩টি। মাহমুদউল্লাহর ছক্কা এই দুই সংস্করণে ২৪ ও ৯৯টি। তবে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৭৭ ছক্কায় অনেকটা এগিয়ে গেছেন তিনি।