বেইরস্টো করলেন, করলেন লঙ্কানরাও
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ৪১৬(বেইরস্টো ১৬৭*, হেরাথ ৪-৮১)
শ্রীলঙ্কা : ১৬২-১(সিলভা ৭৯*, ফিন ১৩১)
দ্বিতীয় দিনশেষে শ্রীলঙ্কা পিছিয়ে ২৫৪ রানে
গ্রাহাম ফোর্ড কি আফসোসেই পুড়েছিলেন? কী দল রেখে গেলেন, আর এসে কী দল পেলেন! প্রথম মেয়াদে যখন শ্রীলঙ্কার কোচ হন, সাঙ্গা-জয়ার রাজত্ব, দলের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা কই! অথচ দ্বিতীয় মেয়াদে এসে দেখেন, সাঙ্গা নেই, জয়া নেই, শ্রীলঙ্কার যেন সেই আত্মবিশ্বাসটাও নেই! লড়াই করার মানসিকতা ফেলে এসেছেন কোথায় যেন তাঁরা! হেডিংলি, ডারহামের প্রথম ইনিংস ফোর্ডকে শুধু হতাশই করেছিলেন লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ইনিংসে যেন একটা বার্তা দেয়া গেল, নাহ্, লড়াইটা এখনও ভুলে যাননি সাঙ্গা-জয়ার উত্তরসূরীরা। লর্ডসের প্রথম ইনিংসটা শুরু হলো সেখানে থেকেই, যেখানে শেষ হয়েছিল ডারহামের দ্বিতীয় ইনিংস।
দিমুথ করুনারত্নে, কুশাল সিলভা, দুই ওপেনারই যেন স্ট্রোকে স্ট্রোকে ভরে তুললেন লর্ডস। প্রথম তিন ওভারেই ২১ রান, সিরিজে প্রথমবারের মতো দুই ওপেনার পেলেন ফিফটি, ফলে প্রথম উইকেটই দেখলো সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। অবশ্য ২৮ রানে করুনারত্নের লোপ্পা ক্যাচ ফেলেছিলেন জনি বেইরস্টো। লর্ডসের সেই বিখ্যাত ‘ঢাল’ উইকেটকিপারদের বেশ বড় একটা পরীক্ষা নেয় সবসময়। বেইরস্টো গ্লাভস হাতে সে পরীক্ষায় ঠিক উৎরাতে পারলেন না।
অভিবাদন : জনি বেইরস্টোর তো প্রাপ্যই তা!
প্রথম দিনের ব্যাটিংটা দ্বিতীয় দিনে টেনে এনে ব্যাটিংয়ের পরীক্ষা শুধু উৎরাননি, রীতিমতো ‘স্ট্যান্ড’ করার মতো অবস্থা! সঙ্গীর অভাবে ডাবল সেঞ্চুরি দূর থেকে ইশারা করেই চলে গেছে, বেইরস্টোকে অপরাজিত থাকতে হয়েছে ১৬৭ রানে। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের কোনো উইকেটকিপারের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। ক্রিস ওকস প্রথম ফিফটি পেয়ে বেইরস্টোকে যথেষ্ট সঙ্গ দিয়েছেন। চেষ্টা করেছিলেন ব্রড-ফিন-অ্যান্ডারসনও। হয়নি ঠিক।
তবে ঠিকঠাক হয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং। লর্ডসের উইকেট ফ্ল্যাট হচ্ছে আরও, লঙ্কানরা এর সুযোগ তুলছেন ভালভাবেই। টেস্ট সিরিজ হারা সারা, কিন্তু এ টেস্ট থেকে যা আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাবে, তাইতো সঙ্গী হবে সামনের সীমিত ওভারের সিরিজে। আর অবস্থান্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কানদের তো আত্মবিশ্বাসটাই দরকার। দরকার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা। ফোর্ড যেটা এসে খুঁজছিলেন।
শিষ্যদের মাঝে যেটা গ্রাহাম ফোর্ড এখন খুঁজে পাচ্ছেন।