এখনো সংশয় কাটছে না বাটলারদের
কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ইসিবির বিশেষ দল। ইংল্যান্ডে ফিরে ঢাকার নিরাপত্তার ব্যাপারে দলের সদস্যদের সাথে বসেছিলেন নিরাপত্তা দলের প্রধান রেগ ডিকাসন। এরপরই জানা যায় যে, নির্দিষ্ট সময়েই বাংলাদেশ সফরে আসছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা এবং ভক্ত অনুরাগীরা। কিন্তু বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরও সংশয় কাটছে না ইংলিশ ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে তাঁদের কারও কারও কন্ঠে এখনও অনিশ্চয়তা।
কিছুদিন আগে ইংলিশ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এউইন মরগান বলেছিলেন, খেলোয়াড়দের সফরে যাওয়ার ব্যাপারে জোরাজুরি করা হবেনা । সফর নিশ্চিত করার একদিনের মাথায় ইংলিশ উইকেটকিপার জস বাটলার বলেছেন, তিনি এই সফরে আসার ব্যাপারে নিশ্চিত নন! তিনি যে নিজের এই মতামত দলের অন্যদের সাথেও আলোচনা করেছেন তা বলাই বাহুল্য।
ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস মনে করেন, সামনের কয়েকদিনের মাঝে যদি আর কোন সন্ত্রাসী হামলা না হয় তাহলে সফরে না যাওয়ার কোন কারণ নেই। তবে খেলোয়াড়দেরকে জোরাজুরি করার মতো কোন অবস্থা সৃষ্টি করবে না বোর্ড, “এখনো আমরা খেলোয়াড়দের থেকে শতভাগ নিশ্চয়তা চাইনি। তাদেরকে শুধুমাত্র নিরাপত্তার ব্যাপারে ব্রিফ করা হয়েছে মিটিংয়ে। আমরা কাউকে জোর করে সফরে পাঠাব না। আমাদের কাজ তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাকিটা তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।”
টেস্ট দলের অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের স্ত্রী অ্যালিস সন্তানসম্ভবা থাকায় এই সফরে তাঁর আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে বাটলারের সফরে না আসার সিদ্ধান্তটা একান্তই নিরাপত্তাজনিত কারণে, “নিরাপত্তা দলের সাথে আমাদের মিটিং পজিটিভ ছিল, কিন্তু ব্যাপারটা এখনো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারছি না। ম্যাচ খেলতে গিয়ে যদি আপনাকে অন্য বিষয়ে বেশি ভাবতে হয় তাহলে কিভাবে হবে বলুন? প্রত্যেকের চিন্তাভাবনা ভিন্ন ভিন্ন হবে এই ব্যাপারটায়। স্ট্রাউস এবং কুক ২০০৮ সালে ভারত সফরে গিয়েছিলেন এরকম অবস্থায়, তারা ব্যাপারগুলো ভাল বুঝবেন।”
এদিকে ইসিবি নিজ দেশের ভক্তদের বলেছে নিজ দায়িত্বে বাংলাদেশ সফর করতে। দলের সাবেক অধিনায়ক স্ট্রাউস বলেন, “কেউ বাংলাদেশে খেলা দেখতে চাইলে হাই কমিশনের সাহায্য নিয়ে যেতে পারেন। আমরা খেলোয়াড়দের ব্যাপারটাই দেখব।”
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের সাথে টি-২০ সিরিজ শেষ হবার পর খেলোয়াড়দের সাথে আবারো বসবে ইসিবি। সেই আলোচনার পরেই জানা যাবে কে কে আসছেন বাংলাদেশে।