• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    সেই বাংলাদেশেই আসছেন হামিদ

    সেই বাংলাদেশেই আসছেন হামিদ    

    অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার আগে খেলেছেন ইংল্যান্ডের সবরকম বয়সভিত্তিক দলেই। হাসিব হামিদ তাই আশায় ছিলেন, বাংলাদেশে আসার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলার। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগেই দল থেকে বাদ পড়লেন হামিদ! নিজের পরিবারের কাছে সে খবরটা দিতে গিয়ে রীতিমতো ভেঙ্গেই পড়েছিলেন হামিদ, তা যে ছিল স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার মতোই!

     

    কিন্তু নয় মাস পর হামিদ সেই কাছের মানুষজনকে আরেকটা খবর দিলেন। সে খবর উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার মতো। যে খবরটা তাঁর বাংলাদেশে আসার! এবার আর বয়সভিত্তিক দল নয়, হামিদ আসছেন জাতীয় দলের হয়ে, টেস্ট স্কোয়াডের অংশ হয়ে!

     

    অ্যালেক্স হেলস নেই, হামিদের তাই ওপেনিংয়ে অ্যালেস্টার কুকের সঙ্গী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে তিনি হবেন ইংল্যান্ডের পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার, ১৯৪৯ সালের পর প্রথম ‘টিন-এজার’।  ১৯০৫ সালের পর ২১ বছরের নিচে কেউ ওপেনিং করেননি ইংল্যান্ডের হয়ে। হামিদের টেস্ট দলে ডাক পাওয়াটা অপ্রত্যাশিত নয় অবশ্য। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের এ মৌসুমে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ৫৪ গড়ে ১১২৯ রান করেছেন, আছে চারটি সেঞ্চুরি। কাউন্টি কোচ অ্যাশলি জাইলস বা অধিনায়ক স্টিভেন ক্রফট, সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন হামিদের ডাক পাওয়ার খবর শুনে।

     

    উচ্ছ্বসিত তিনি নিজেও, ‘বিশ্বকাপ যেখানে হয়েছিল, সেখানেই নয় মাসের মধ্যে জাতীয় দলের সঙ্গে যাওয়াটা অসাধারণ। রীতিমতো পরাবাস্তব ব্যাপার-স্যাপার!’ তবে ভুলে যাচ্ছেন না অতীতকেও, ‘আমি বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু যখন শুনলাম আমার যাওয়া হচ্ছে না, রীতিমতো ভেঙ্গে পড়েছিলাম।’ সেই পরিবারকেই এবার সুখবরটা দিতে পেরেছেন হামিদ। সবচেয়ে বেশী খুশী কার হওয়ার কথা! আর কে, যে বাবা সেই আট বছর বয়স থেকে হামিদকে ক্রিকেটার বানানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, যে বাবাই হামিদের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় কোচ, সবচেয়ে বেশী খুশী নিশ্চয়ই তিনিই হবেন! 

     

    হামিদের বাবা তাঁকে বলতেন, ‘আমি তোমাকে বয়সভিত্তিক বা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের জন্য নয়, প্রস্তুত করছি টেস্ট ক্রিকেটে খেলার জন্য।’

     

    সেই প্রস্তুতিটা হামিদ কেমন নিয়েছেন, তা দেখা যাবে বাংলাদেশের সঙ্গেই!