• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    তাসকিনকে টেস্টে ভাবছেন না হাথুরু

    তাসকিনকে টেস্টে ভাবছেন না হাথুরু    

    ১৫ মাস পর সাদা পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটার চেহারাই হয়তো অনেকে ভুলে গিয়ে থাকবেন এতো লম্বা বিরতিতে! সঙ্গত কারনেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের দল নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই দর্শক মহলে। তবে সিরিজের সম্ভাব্য স্কোয়াডে পেসার তাসকিন আহমেদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ্যে চলে আসাটা জন্ম দিচ্ছে নতুন আলোচনার। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা তাসকিনের টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিপরীতমুখী মত দিচ্ছেন দলের কোচ ও নির্বাচকরা। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে পরিষ্কার করেই বলছেন, এতো দ্রুত তাসকিনকে পাঁচ দিনের ক্রিকেটে নামিয়ে দিয়ে এই তরুণের ক্যারিয়ার ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে চান না তিনি।

    ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টিতে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়ে যাওয়া তাসকিন এখনও অপেক্ষায় আছেন টেস্ট ক্যাপ মাথায় তোলার। তবে এখনই যে সেটার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত নন তিনি সেটা বলে দিচ্ছে তাঁর প্রোফাইলই। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলা তাসকিন ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বশেষ সাদা পোশাকে মাঠে নেমেছিলেন সাড়ে তিন বছরেরও বেশী সময় আগে। সেই তাসকিনকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রাক্কালে একটি প্রস্তুতি ম্যাচের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই।

    তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন বলছেন টেস্ট দলে তাসকিনের অন্তর্ভুক্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবেই তাসকিনকে দুই দিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচের স্কোয়াডে রাখা, "লম্বা সংস্করণের ক্রিকেটে তাঁর শরীর কিভাবে সাড়া দেয় সেটাই আমরা দেখতে চাইছি। প্রাথমিকভাবে আমরা তাঁকে জাতীয় লিগের চতুর্থ পর্বে খেলাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা বিলম্বিত হয়ে যাওয়ার আমরা পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনি।...আসলে টেস্ট দলে তাসকিনের মতো একজন বোলার তো আমাদের দরকারই। তবে তাঁর শারীরিক সামর্থ্য আর ফিটনেসটাও এখানে বড় ইস্যু। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে সে দারুণ বল করছে, ফিটনেস নিয়েও তাঁর কোনো অনুযোগ নেই। সে বিবেচনাতেই আমরা তাঁকে লম্বা সংস্করণের ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে প্রস্তুতি ম্যাচের দলে রেখেছি।"

    তবে এমন 'পরীক্ষানিরীক্ষায়' স্পষ্টতই মত নেই কোচ হাথুরুসিংহের, "সে কি কোনো চার দিনের ম্যাচ খেলেছে? না হলে সে কি যাদুমন্ত্রে কিছু একটা করে ফেলবে? জীবনে যে চারদিনের ক্রিকেট খেলে নি তাঁর জন্য চার দিন ফিল্ডিং করা এবং ১৫ ওভার করে বল করাটা সম্পূর্ণ অচেনা এক অভিজ্ঞতা হবে।  আমি চাই না এভাবে কারও ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাক।"

    তবে জাতীয় দলের ম্যানেজার এবং নির্বাচক প্যানেলের সদস্য খালেদ মাহমুদ সুজনও কথা বলছেন প্রধান নির্বাচকের সুরেই, "নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে সে দারুণ বল করছে। লম্বা সংস্করণের ক্রিকেটে এমন একজন বোলার আমাদের প্রয়োজন। তবে টেস্ট দলে তাঁর সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে এখনই কিছু বলার সুযোগ আসে নি। দু'দিনের এই ম্যাচে সে কেমন চাপ নিতে পারে সেটাই আমরা প্রথমে দেখতে চাই।"