• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    ২২ গজের সেলুলয়েড: অনাহূত বাউন্সার ও তামিমের প্যাড-আপ

    ২২ গজের সেলুলয়েড: অনাহূত বাউন্সার ও তামিমের প্যাড-আপ    

    মঈনে ব্যর্থ, আনসারিতে সফল

    মঈন আলির প্রথম ওভারেই সামনে গিয়ে খেলতে গেলেন তামিম ইকবাল। আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা থেকেই বোধহয়। সফল হলেন না ঠিক। এরপর এলেন অভিষিক্ত জাফর আনসারি। আবার ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে তামিম, এবার কাভার দিয়ে চার। তামিম শেষ পর্যন্ত মঈনের বলেই আউট হলেন, তবে অভিষেক ইনিংসে কোনো উইকেট আর পাওয়া হলো আনসারির। সারের বোলার ৬ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে থাকলেন উইকেটশূন্য।

     
     

    কিপার যখন ফিল্ডার

    আদিল রাশিদের বলটা বেশ দেরী করে খেললেন তামিম ইকবাল। বেইরস্টো প্রথমে খুললেন গ্লাভস, ছুটতে ছুটতেই খুলে ফেলে দিলেন হেলমেট। কিপার বেইরস্টো যতক্ষণে বলের নাগাল পেয়ে স্ট্যাম্পে ছুঁড়েছেন, তামিম ও মুমিনুল নিয়েছেন তিন রান। বেইরস্টোকে আবার ফিল্ডারের ভূমিকায় নামতে হলো, সেই রাশিদের বলেই। এবারও ব্যাটসম্যান তামিম, বেইরস্টো আগে গ্লাভস খুললেন, তারপর হেলমেট। শেষ পর্যন্ত হলোও ওই তিন রানই!

     

    বাউন্সার এবং বাউন্সার

    প্রথম টেস্টে হেলমেটে লেগেছিল সাব্বিরের। বোলার ছিলেন স্টোকস। পরে খোঁজখবরও নিয়েছিলেন নিজে থেকে, সাব্বিরের কাছ থেকেও তাঁর খোঁজ নিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ের সময়। মিরপুর টেস্টে আবার স্টোকসের একটা বল হেলমেটে লাগলো, এবার ব্যাটসম্যান ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম। মুশফিক পড়ে গেলেন, ছুটে গেলেন স্টোকস। নিজ হাতে হেলমেট খুলে দিলেন, ব্যাট সরিয়ে রাখলেন। ইংল্যান্ডের ডাগ-আউট থেকে ছুটে এলেন ইংলিশ ফিজিও, বাংলাদেশের ফিজিওর পাশাপাশি। শেষ পর্যন্ত উঠে দাঁড়ালেন মুশফিক। বাউন্সারের প্রভাব যে আর ক্রিকেটে আগের মতো নেই!

     

    ‘প্যাড-আপ’-এ সর্বনাশ

    ১৪তম ওভারের শেষ বল। তামিম প্যাড বাড়িয়ে খেললেন মঈন আলিকে। ঠিক খেললেন না, ছেড়ে দিলেন। ‘প্যাড-আপ’। ইংল্যান্ডের আবেদন নাকচ করে দিলেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। হক আই দেখালো, বল যেতো স্ট্যাম্পের ওপর দিয়ে। বেঁচে গেলেন তামিম। এরপর আরও একবার করলেন ‘প্যাড-আপ’, সেবার হলো না কিছুই। তামিম আবার ‘প্যাড-আপ’ করলেন, এবার ধর্মসেনা দিলেন আউট। তামিম রিভিউ নিলেন, শেষরক্ষা আর হলো না! ‘প্যাড-আপ’ই কাল হলো তামিম ইকবালের!

     
     

    তিনের ফের

    এ ইনিংস দিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো এলবিডাব্লিউ হলেন তামিম। ৮৩ ইনিংসে সবচেয়ে বেশী হয়েছেন ক্যাচ, ৫৮ বার। বোল্ড হয়েছেন ১৭ বার। তামিমের উইকেট নেয়া মঈন বোল্ড করলেন মুমিনুলকে, মুমিনুলের ক্যারিয়ারের এটি আবার তৃতীয় বোল্ড! ৩৩ ইনিংসে মুমিনুল সবচেয়ে বেশীবার হয়েছেন ক্যাচ, ২০ বার। আর এলবিডাব্লিউ হয়েছেন ৫ বার।

     

    হঠাৎ বৃষ্টি

    বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। তবে মেঘ আর রোদের লুকোচুরি চলেছে পুরোদিন জুড়েই। বৃষ্টি ছাড়াই চলেছে খেলা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি নামলোই, এমনধারায় যে দিনের খেলাই শেষ হয়ে গেল! ১৩ উইকেটের দিনে বৃষ্টি বাগড়া না বাঁধালে কি উইকেটসংখ্যাটাই বাড়তো আরেকটু?