• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    প্রসন্ন-ঝড়েও পারল না ঢাকা

    প্রসন্ন-ঝড়েও পারল না ঢাকা    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    খুলনা ২০ ওভারে ১৫৭ (মাহমুদউল্লাহ ৬২, শুভাগত ২৪, ব্রাভো ২/২৭)

    ঢাকা ১৯.১ ওভারে ১৪৮ (প্রসন্ন ৫৩, মোসাদ্দেক ৩৫, মোশাররফ ৩/৩১, কুপার ৩/৩৫ )

    খুলনা ৯ রানে জয়ী


    ম্যাচ শেষ। খুলনা খেলোয়াড়েরা নিজেরা উদযাপনের আগে এসে ঢাকা ডায়নামাইটসের সেকুগে প্রসন্নের পিঠ চাপড়ে দিলেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কার এই অলরাউন্ডার কি আর তাতে সান্ত্বনা পান? প্রায় অসম্ভব জয়টা পেতে পেতে না পাওয়ার আফসোস ভুলতে তো সময় লাগবে প্রসন্নের। বিপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটিটাও এখন হয়তো অর্থহীন মনে হবে তাঁর কাছে।  ৯ রানে হেরে ঢাকা বিপিএলে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ হারল, খুলনা পেল টানা তিন জয়।

    অথচ প্রায় দূরে মিলিয়ে যাওয়া ম্যাচে ঢাকাকে আবার ফিরিয়েছিলেন এই প্রসন্নই। যখন ক্রিজে নেমেছেন, ঢাকা তখন ৮৩ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৭ উইকেট। খুলনার ১৫৭ রান অনেক দূরের পথই মনে হচ্ছিল। কিন্তু প্রসন্ন সেই দুর্গম পথটাই প্রায় পাড়ি দিয়ে দিচ্ছিলেন।

    মুখোমুখি দ্বিতীয় বলে মোশাররফ হোসেনকে উড়িয়ে ছয় মেরে শুরু। তখনও অবশ্য জয়টা খুলনারই মনে হচ্ছিল। ৫ ওভারে দরকার ছিল আরও ৬৫ রান। কিন্তু কেভন কুপারের এক ওভারেই ঢাকাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন প্রসন্ন। ওই ওভারেই মারলেন তিন ছয়, ঢাকা সামনে এর পর ৪ ওভারে ৪৪ রানের অনেকটা সহজ একটা সমীকরণ।

    পরের ওভারগুলোতে সেই সমীকরণ আরও সহজ হয়ে এলো। শফিউলের পরের ওভার থেকে এলো ১২, শেষ ৩২ ওভারে দরকার আরও ৩২। এর পর মোশাররফের ১৮তম ওভারে আরও দুইটি ছয় প্রসন্নের। ওই ওভারেই তিন রান নিয়ে ১৮ বলে ফিফটি হয়ে গেল প্রসন্নের। ২০১২ সালে বরিশাল বার্নার্সের হয়ে দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন আহমেদ শেহজাদ। তার পর এটাই বিপিএলের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি।

    কিন্তু এরপর দুই ওভারে ঢাকা হারাল সানজামুল ও সোহরাওয়ার্দী শুভকে। শেষ ওভারে দরকার ১০ রান, স্ট্রাইকে প্রসন্ন। হাতে মাত্র এক উইকেট। কুপারের প্রথম বলটা উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন লং অফে। তীরে এসেও তরী ভেড়া হলো না প্রসন্নের। কিন্তু সাত ছক্কা মেরেও ম্যাচসেরা হননি।

    তার আগে ব্যাট করতে নেমে ১৫৭ রান করেছে খুলনা। ৪৪ বলে ৬২ রান করে মাহমুদউল্লাহই সামনে থেকে পথ দেখিয়েছেন। তবে মাহমুদউল্লাহ নন, ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন খুলনার মোশাররফ হোসেন রুবেল।