• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    গিলক্রিস্ট, জাভেদ ওমরের পাশে অ্যান্ডারসন

    গিলক্রিস্ট, জাভেদ ওমরের পাশে অ্যান্ডারসন    

    প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলে সেটাকে বলে গোল্ডেন ডাক। আর টেস্টের দুই ইনিংসেই প্রথম বলে আউট হয়ে গেলে? সেটিকে বলা হয় কিং পেয়ার। টেস্ট ক্রিকেটে ১৮ বার এই “কীর্তি” আছে, সেই তালিকায় আছে বাংলাদেশের জাভেদ ওমর বেলিমেরও নাম। আজ ১৯তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেখানে নাম লেখালেন জেমস অ্যান্ডারসন।

    বিশাখাপত্তনম টেস্টে দুই ইনিংসেই মুখোমুখি প্রথম বলে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন অ্যান্ডারসন। প্রথমবার ঘাতক অশ্বিন, পরের বার জয়ন্ত যাদব। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২১টি শুন্য অ্যন্ডারসনেরই। তবে কিং পেয়ারের অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। এর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে দুইবারই হয়েছিল সেটি, সর্বশেষ ঘটনা ১১০ বছর আগে।

    ১৯০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরনি হায়েস দুই ইনিংসেই প্রথম বলে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। তার আগে ১৮৯২ সালে ইংল্যান্ডের উইলিয়াম অ্যাটওয়েলের হয়েছিল এই অভিজ্ঞতা। এরপর টেস্টে যাঁদের এই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছে জাভেদ ওমরের নামও। ২০০৭ সালে ঢাকা টেস্টে ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। দুবারই ইনিংসের প্রথম বলে আউট করেছিলেন জহির খান।

    তবে এই তালিকায় কিন্তু অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বা বীরেন্দর শেবাগদের মতো ব্যাটসম্যানও আছে। ২০০১ সালে সেই লক্ষ্মণের সেই মহাকাব্যিক সেঞ্চুরির কলকাতা টেস্টে দুই ইনিংসেই প্রথম বলে আউট হয়ে গিয়েছিলেন গিলক্রিস্ট। আর শেবাগের অভিজ্ঞতাটা পাঁচ বছর আগে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সবচেয়ে বেশি চার বার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা টমি ওয়ার্ডের। ১৯১২ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দুই ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়ার জিমি ম্যাথুজের বলে আউট হয়েছিলেন। তার চেয়েও কাকতালীয়, দুই ইনিংসেই ওয়ার্ডকে আউট করেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন ইংল্যান্ডের জিমি ম্যাথুজ। এক টেস্টে দুই বার হ্যাটট্রিক করার একমাত্র কীর্তিও হয়ে আছে সেটি।