• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    মিরাজ-ফরহাদে রাজশাহীর অনবদ্য জয়

    মিরাজ-ফরহাদে রাজশাহীর অনবদ্য জয়    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    রাজশাহী কিংস ২০ ওভারে ১২৮/৭ (ফরহাদ ৪৪*, মিরাজ ৪১*, সাব্বির ১৬; আরাফাত ৩/৩১, আফ্রিদি ২/১০)

    রংপুর রাইডার্স ১৭.৪ ওভারে ৭৯ (মিঠুন ২০, শেহজাদ ১২; অপু ৩/৮, রাজু ৩/১১)

    ফলঃ রাজশাহী কিংস ৪৯ রানে জয়ী

     


    এক অবিস্মরণীয় জুটির সাক্ষী হয়েছে বিপিএল। যার সুবাদে ৪৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যাওয়া রাজশাহী কিংস পেয়েছে ফিনিক্স পাখির মতো পুনর্জীবন। বিপিএলের ইতিহাসে ৮ম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে দলকে ১২৮ রানে পৌঁছে দিয়েছেন ফরহাদ রেজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই যা আবার ৮ম উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান। এই দুর্দান্ত জুটির সুবাদেই রংপুর রাইডার্সকে ৪৯ রানে হারিয়েছে রাজশাহী কিংস। উত্তরাঞ্চলের দুই দলের লড়াইয়ে জিতে তুলে নিয়েছে নিজেদের ৫ম জয়।

    আরাফাত সানি ও শহীদ আফ্রিদির ঘূর্ণি আক্রমণের মুখে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় রাজশাহী কিংস। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসেই মুমিনুল হক ও সামিত প্যাটেলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি তুলে নেন সানি। এরপর নেন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া আবুল হাসান রাজুর উইকেট। অন্যপ্রান্তে সাব্বির রহমান ও উমর আকমলকে আউট করেন শহীদ আফ্রিদি। তাঁদের সঙ্গে রুবেল হোসেন ও অধিনায়ক লিয়াম ডসন যোগ দিলে মনে হচ্ছিল পঞ্চাশের নিচেই অলআউট হয়ে যাবে রাজশাহী। কিন্তু তখনও যে বাকি ফরহাদ রেজা ও মেহেদী হাসানের জাদু! ৬৪ বলে বিচ্ছিন্ন ৮৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে তোলেন দুজনে। যাতে দুজন মিলিতভাবে মারেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা।

    এই ম্যাচের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক দিক হলো ব্যাট হাতে মেহেদী হাসান মিরাজের জ্বলে ওঠা। বল হাতে ইতিমধ্যে নিজেকে চিনিয়েছেন তিনি। কিন্তু ব্যাট হাতে নিজেকে কেন যেন চেনাতে পারছিলেন না। যাকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের পরবর্তী বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, তিনি কী আর বেশিদিন পর্দার আড়ালে থাকতে পারেন! ছাইচাপা আগুনের মতো তাই নিজের জাত চিনিয়েছেন ব্যাটসম্যান মিরাজ। ৩৩ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টিতেই তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর পাশাপাশি ১২ রানে ২ উইকেটও নিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ।  

    ১২৯ রানের লক্ষ্যটিই রংপুর রাইডার্সের সামনে হয়ে উঠলো অনেক বড়। মোহাম্মদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ মিঠুন ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি রংপুরের আর কোনো ব্যাটসম্যানই। সর্বোচ্চ ২০ রান করে অনেকক্ষণ সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখেছেন মিঠুন। কিন্তু তিনিও চলে গেলে পরাজয়ই নিয়তি হয়ে দাঁড়ায় রংপুর রাইডার্সের সামনে।