• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    কাউকে দোষ দিচ্ছেন না তামিম

    কাউকে দোষ দিচ্ছেন না তামিম    

    ড্যারেন স্যামির দুর্দান্ত ইনিংসে পর্যুদস্ত হয়ে বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। দলের বিদেশি খেলোয়াড়রা খেলেছেন অসাধারণ। সাকিব আল হাসান এঁদেরকেই বলেছিলেন বিপিএলের সেরা। কিন্তু স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে তামিম ইকবাল ও তাসকিন আহমেদ ছাড়া বলার মতো তেমন ভালো খেলেননি কেউই। এ নিয়ে আক্ষেপ আছে চট্টগ্রাম অধিনায়কের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের পারফরম্যান্সে তিনি সন্তুষ্ট। স্বদেশি সতীর্থদের ওপর কোনো দোষও দিতে চান না। বিদায় লগ্নে বলেছেন, “কাউকে কোনো দোষ দিয়ে লাভ নেই।”

    ৪৭৬ রান করে এবারের বিপিএলে শীর্ষ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। তিনি ছাড়া শীর্ষ দশে নেই চট্টগ্রামের আর কেউ। ১৯ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে শীর্ষে আছেন দলের আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। ১৫ উইকেট নিয়ে ষষ্ঠ তাসকিন আহমেদ। এর বাইরে বিদেশিরা সব মিলিয়ে ভালো খেললেও তাঁদের যোগ্য সমর্থন জোগাতে পারেননি দেশি ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে তামিম বলেছেন, “লোকাল খেলোয়াড়রা আমাদের এই দলটিকে আরেকটু সমর্থন করলে আমরা হয়তো আরেকটু ভালো অবস্থায় থাকতাম। এই জায়গায় একটু দুর্বলতা থেকেই গেছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কোনো কারণে হয় নাই। আপনারা যদি দেখেন তো চট্টগ্রামের হয়ে পারফরম্যান্স করেছি হয় আমি নয়তো বিদেশিরা। বোলিংয়ে হয়তো তাসকিন এক-দুই ম্যাচে করেছে। ব্যাটিংয়ে যদি লোকালদের আরেকটু সমর্থন পেতাম তাহলে কাজটা আরেকটু সহজ হতো। প্রতিদিন তো আমি বা বিদেশিরা রান করবে না।”

    এই প্রসঙ্গে অন্যান্য দলগুলোর উদাহরণ টেনেছেন বাংলাদেশ ওপেনার, “আপনি যদি অন্যান্য দলগুলো দেখেন যেমন ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা- ওদের লোকাল খেলোয়াড়রা দারুণ খেলেছে। এই ব্যাপারটা অনেক বড় সমর্থন হয়ে যায়। এই জায়গায় আমাদের একটু ঘাটতি ছিল। কিন্তু তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কাজ করেনি।”

    বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মোহাম্মদ নবী, শোয়েব মালিক ও ইমরান খান জুনিয়র দুর্দান্ত খেলেছেন। কিন্তু শেষের দিকে যাঁকে নিয়ে ছিল তীব্র প্রত্যাশা সেই ক্রিস গেইল সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। এ বিষয়ে তামিমের মত একেবারেই অধিনায়কোচিত, “সব সময় একটা জিনিস বলি, ক্রিকেট এমন একটা জিনিস আপনি যতো বড় খেলোয়াড়ই আনেন না কেন পারফরম্যান্স হবে কী হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ওর মনোভাব নিয়ে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট। কারণ ও মনপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে। যতটুকু পেরেছে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আশা করেছি সেটা হয়তো হয়নি, কিন্তু সেটা নিয়ে আমি মোটেই হতাশ নেই। ও এগারো জনের একজন। আমরা আরো দশজন ছিলাম। আমরা আরো ভালো করতে পারতাম।”