• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    অশ্বিনকে জবাব দিলেন জেনিংস

    অশ্বিনকে জবাব দিলেন জেনিংস    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর 
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ৯৪ ওভারে ২৮৮/৫ (জেনিংস ১১২, আলী ৫০; অশ্বিন ৪/৭৫)


    প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান। ম্যাচের ভারসাম্যটা এখনও দুই দিকেই সমানভাবে হেলে আছে, আপাতদৃষ্টিতে সেটাই মনে হবে। তবে ওয়াংখেড়ের উইকেট যেভাবে রং বদলাচ্ছে, তাতে দিন শেষে ইংল্যান্ডের খুব একটা অসন্তুষ্টি থাকবে না। তবে অ্যালিস্টার কুক আফসোস করতেই পারেন, এক-দুইটি উইকেট কম গেলে সোনায় সোহাগা হতো। আর ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি আক্ষেপ করতে পারেন, ভাগ্য আরেকটু পক্ষে থাকলে হয়তো ইংল্যান্ডের আরেকটি উইকেট ফেলে দেওয়া যেত। চার উইকেট নিয়ে অশ্বিন যেমন দিনটি নিজের করে নিতে পারতেন। সেটা পারেননি পাকেচক্রে সুযোগ পেয়ে যাওয়া কিটন জেনিংসের দারুণ এক সেঞ্চুরির জন্য। 


    মুম্বাইয়ে মহামূল্যবান টস্টা জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুবার ভাবতে হয়নি কুকের।  হাসিব হামিদের নেই চোটের জন্য, চার বছরে কুকের একাদশতম সঙ্গী হয়ে মাঠে নেমেছেন কিটন জেনিংস। অভিষেকের স্নায়ুচাপে শুরুতে সুযোগও দিয়ে ফেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা বংশোদ্ভুত এই ওপেনার। কিন্তু একটু একটু করে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে থাকেন। দুজনের জুটিটা ভেঙেছে ৯৯ রানে, একটুর জন্য ভারতের মাঠে আরেকতি হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি কুকের। এরপর জো রুটঅ যখন ২১ রান করে আউট হয়ে যান, ভারতের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনার পালে তখন জোর হাওয়া।


    সেখান থেকে মঈন আলীকে নিয়ে আবার রুখে দাঁড়িয়েছেন জেনিংস। অশ্বিন, যাদব, জাদেজারা সুযোগ পেলেই ছোবল মারার চেষ্টা করেছিলেন, আউট হতে হতেও বেশ কয়েকবার বেঁচে গেছেন জেনিংস-মঈন। শেষ পর্যন্ত ফিফতির ঠিক পর পর তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে অশ্বিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন মঈন। দুই বল পরেই ডিপ গালিতে ক্যাচ দিয়ে আউট জেনিংস, তার আগেই অবশ্য পেয়ে গেছেন অভিষেকেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। এক ওভারেই জোড়া আঘাত অশ্বিনের। ভারতের অফ স্পিনারকে তখন অপ্রতিরোধ্যই মনে হচ্ছিল। 


    এরপর ইংল্যান্ডের হয়ে অনেক ঝড় ঝাপটা সামাল দেওয়া জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস আবারও হাল ধরেছিলেন। তবে বেয়ারস্টো বেশিক্ষণ থাকেননি, ১৪ রানেই আউট হয়ে গেছেন সেই অশ্বিনের বলেই। স্টোকসও আউট হতে হতেও হননি। জাদেজার প্রায় নিশ্চিত মনে হওয়া এলবিডব্লুও অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করায় বেঁচে গেছেন রিভিউ থেকে। শেষ পর্যন্ত জস বাটলারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানের জুটি গড়ে আর কোনো বিপদ হতে দেননি ইংল্যান্ডের।