• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    ডাবল সেঞ্চুরি মানেই কোহলি !

    ডাবল সেঞ্চুরি মানেই কোহলি !    

    আদিল রশিদের বলটা মিড উইকেটে ঠেলে দিয়েই এলো সেই মুহূর্ত। যে ডাবল সেঞ্চুরির জন্য একদিন হাপিত্যেশ করতে হতো বিরাট কোহলিকে, সেটাই এখন যেন ভারত অধিনায়কের কাছে হয়ে গেছে নৈমিত্তিক ব্যাপার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডের পর এবার ইংল্যান্ডের সঙ্গেও পেলেন দ্বিশতক। এক বছরেই তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে গেল  কোহলির, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ইনিংসও এখন তাঁর।

    সুবাসটা পাচ্ছিলেন আগের দিনই। ৩০৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত যখন কাঁপছে, জাদেজা ও  জয়ন্ত যাদবকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে শুরু করলেন প্রতিরোধ। তৃতীয় দিন শেষে কোহলি অপরাজিত ছিলেন ১৪৭ রানে, তবে সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত এলো আজ লাঞ্চের ঠিক আগে। কোহলি যখন দাঁড়িয়ে হেলমেট খুলেছেন, পুরো ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম সশব্দ উল্লাসে তাঁকে জানিয়েছে স্যালুট।

    টেস্ট ইতিহাসে এক বছরে এর চেয়েও বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে। ২০১২ সালে মাইকেল ক্লার্ক করেছিলেন চারটি ডাবল সেঞ্চুরি। তিনটি করে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি আছে রিকি পন্টিং, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের। কোহলির এখনো বছর শেষ হয়নি, ইংল্যান্ডের সঙ্গে শেষ টেস্টে কে জানে হয়তো ক্লার্ককে ছুঁয়েও ফেলতে পারেন।

    রেকর্ড যেন একের পর এক ভারত অধিনায়কের পায়ে লুটে এসে পড়ছে। ভারতের কোনো অধিনায়কের এর আগে টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২২৪, তিন বছর আগে মহেন্দ্র সিং ধোনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চেন্নাইতে গড়েছিলেন সেই কীর্তি। ২৩৫ রান করে ধোনিকেও টপকে গেলেন কোহলি। ভারতের অধিনায়কদের মধ্যে এর আগে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ছিল চারজনের, কোহলি শুধু এই বছরেই একাই করেছেন তিন বার।

    স্বপ্নের এক বছরে আরেকটা কীর্তিও কালই হয়ে গিয়েছিল। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এর আগেই ৫০ রানের বেশি গড় ছিল কোহলির, টেস্টেও সেটা পেরিয়ে গেলেন। এই সিরিজে এখন পর্যন্ত ৬০০র বেশি রান করে ফেলেছেন, ক্যারিয়ারে এর আগে মাত্র একবার করতে পেরেছিলেন সেটি। ভারতের অধিনায়ক হয়ে এক সিরিজে ৫০০র বেশি রান করতে পেরেছিলেন এর আগে শুধু সুনীল গাভাস্কার।