• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    কুকের মুখে হাসি এনে দিলেন মঈন-রুট

    কুকের মুখে হাসি এনে দিলেন মঈন-রুট    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ১ম দিন শেষে

    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৮৪/৪ (মঈন ১২০*, রুট ৮৮; জাদেজা ৩/৭৩)


    রাজকোটেই যা একটু হাসতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। এরপর বিশাখাপত্তনম, মোহালি, মুম্বাইতে সেই হাসিটা একটু একটু করে মুছে গেছে অ্যালিস্টার কুকের মুখ থেকে। অবশেষে আজ আবার একটুও সেই উপলক্ষ পেলেন ইংলিশ অধিনায়ক। চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনটা বোধ হয় এতোটা ভালো কুকও আশা করেননি।

    সকালের ওই এক ঘন্টা বাদ দেওয়া হলে ইংল্যান্ডের দিনটা আসলে স্বপ্নের মতোই গেছে। অভিষেক ইনিংসে সেঞ্চুরির পর কিটন জেনিংস টের পাচ্ছেন, টেস্ট ক্রিকেটটা আসলে খুব সহজ নয়। সেঞ্চুরির পরের ইনিংসে পেয়েছিলেন গোল্ডেন ডাক, আজ আউট হয়ে গেছেন ১ রান করেই। অ্যালিস্টার কুকও ভারতে এবার নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, আজ রবীন্দ্র জাদেজার বলে উইকেটটা স্লিপে একরকম দিয়েই এসেছেন। কুকের রান তখন ১০, ইংল্যান্ড ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে।

    সেখান থেকে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত। জো রুটের একটা শট স্লিপের ফাঁক গলে বেরিয়ে গেছে, মিড অনে মঈন আলীর সহজ ক্যাচটা রাখতে পারেননি লোকেশ রাহুল। মঈনের তখন ছিল মাত্র ২ রান। কে জানত, দিন শেষে সেই ক্যাচের জন্য এভাবে হাপিত্যেশ করতে হবে রাহুলকে?

    রুট অবশ্য শুরু থেকেই ছিলেন দারুণ স্বচ্ছন্দ, মঈন শুরুর অস্বস্তিটা কাটিয়ে একটু একটু করে নিজেকে ফিরে পেয়ে গেছেন। সিরিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা রুট পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল, কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ১২ রান দূরে থাক আউট হয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজার বলে। তবে ভারতের সঙ্গে খেলা প্রতি টেস্টেই অন্তত একটা ফিফটির ধারাবাহিকতা ঠিকই বজায় রেখেছেন।

    তবে অশ্বিনদের এরপর চেপে বসতে দেননি মঈন-বেয়ারস্টো। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন আরও ৮৬ রান। বেয়ারস্টো এর মধ্যে জাদেজা-অশ্বিনকে স্লগ সুইপে তিনটি ছয়ও মেরেছেন। তবে জাদেজার বলে আরেকটি শট খেলতে গিয়েই ক্যাচ দিয়েছেন লোকেশ রাহুলকে, হাফ সেঞ্চুরি থেকে তখন মাত্র ১ রান দূরে।

    তবে স্টোকসকে নিয়ে দিনের বাকি সময় আর কোনো বিপদ হতে দেননি মঈন। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিও পেয়ে গেছেন। এই বছরে এক হাজার রানও হয়ে গেছে তাঁর, কাল সেটা আরও বেশ কিছুটা বাড়িয়েই নিতে চাইবেন!