• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    যেখানে সাকিবের সামনে শুধু সোবার্স-ক্যালিস

    যেখানে সাকিবের সামনে শুধু সোবার্স-ক্যালিস    

    টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড এর মধ্যেই নিজের করে নিয়েছেন। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটিতেও এখন তাঁর নাম লেখা। তবে সেই সঙ্গে আরেকটি অভিজাত তালিকায়ও নিজের নাম লেখালেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট ক্রিকেটে ৩ হাজার রান ও ১৫০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকে গেলেন সাকিব। সেখানে তাঁর আগে অবশ্য ছিলেন আরও ১৩ জন। 


    একটা দিক দিয়ে সাকিবের অবশ্য অতৃপ্তিই বেশি কাজ করার কথা। এই তালিকায় তো আরও অনেক আগেই নাম লেখানো উচিত ছিল তাঁর। একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও দশ উইকেটের কীর্তিটা আগেই করেছিলেন, সেখানে এই ডাবলটা একটু দেরিতেই হলো। সেটার জন্য বাংলাদেশের টেস্ট খেলার অপ্রতুলতাকে কারণ হিসেবে দাঁড় করাতেই পারেন সাকিব। মাত্র ৪৫ টেস্ট খেলেই এই ডাবল হয়ে গেছে সাকিবের, তালিকার অন্য ১৩ জনই এর চেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছেন। 


    বেশ কয়েকটা নাম এখানে অনুমিতই। গ্যারি সোবার্সের সঙ্গে চার গ্রেট ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেব ও রিচার্ড হ্যাডলি তো আছেনই। জ্যাক ক্যালিসের নামটাও সবাই অনুমান করতে পারবেন। শন পোলক, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ও ক্রিস কেয়ার্নসও নিজের সময়ে সেরা অলরাউন্ডারদের ছোট্ট তালিকায় থাকবেন। তবে এর মধ্যে শেন ওয়ার্ন, চামিন্দা ভাস ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির মতো বোলারও আছেন। আবার রবি শাস্ত্রীর মতো মূলত ব্যাটসম্যানও আছেন এখানে। 


    অলরাউন্ডারের গ্রেটনেস বিচারের আরেকটি সূচক যেটি, ব্যাটিং ও বোলিং গড়ের ব্যবধানও এখানে সাকিবকে অনেকের চেয়ে এগিয়ে রাখছে। ২৩.৭৪ ব্যবধান নিয়ে এখানে সোবার্সই সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। ২২.৭১ ব্যবধান নিয়ে এর ঠিক পরেই আছেন জ্যাক ক্যালিস। ১৪.৮৮ নিয়ে তার পর ইমরান খান। আর ৯.৬২ ব্যবধান নিয়ে তার ঠিক পরেই আছেন সাকিব আল হাসান। পেছনে ফেলে দিয়েছেন বোথাম, কপিল, হ্যাডলিদেরও। আর ব্যাটিং গড়ের দিক দিয়েও এখানে সাকিবের চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু সোবার্স আর ক্যালিস।