• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    মুশফিক থাকলে ফল অন্যরকমও হতে পারতঃ টেলর

    মুশফিক থাকলে ফল অন্যরকমও হতে পারতঃ টেলর    

    প্রথম ওয়ানডেতেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন। পরে বাকি দুই ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে দর্শক হয়ে দেখতে হয়েছে দলের দুর্দশা। টেস্টে অধিনায়ক হয়ে দলে ফিরলেন, দুর্দান্ত একটা সেঞ্চুরি করলেন। বাংলাদেশ দলও যেন বদলে গেল জাদুমন্ত্রের মতো। এবার রস টেলর বলছেন, ওয়ানডে-টি টোয়েন্টিতে মুশফিককে পেলে কয়েকটা ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত। 


    ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভ বাংলাদেশের জন্য এই টেস্টের আগে একের পর এক দুঃস্মৃতিই উপহার দিয়ে গেছে। এর আগে দুই টেস্টের চার ইনিংস মিলে বাংলাদেশ যেখানে ৫২৩ রান করেছে, সেখানে এই এবার প্রথম ইনিংসেই শুধু করেছে ৫৯৫ রান। সেই চূড়ায় ওঠায় সাকিবের ডাবল সেঞ্চুরির পাশাপাশি বড় অবদান মুশফিকের ১৫৯। টেলর তাই মনে করিয়ে দিলেন, "টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ যতটা একতরফা মনে হয়েছে ব্যাপারটা আসলে ঠিক তেমনটা ছিল না। বাংলাদেশ মিডল অর্ডারে মুশফিককে বেশ মিস করেছে। দল ওর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। যদি টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডের সবগুলোতে ও খেলতে পারত, তাহলে গল্পটা অন্যরকমও হতে পারত।"


    তৃতীয় দিনে অবশ্য বাংলাদেশের বোলাররা মাত্র তিন উইকেট নিতে পেরেছে।  তবে অনভ্যস্ত কন্ডিশনে বাংলাদেশের বোলারদের তারপরও প্রশংসাপত্র দিচ্ছেন টেলর, "সাকিব তো অনেক দিন ধরেই একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। তবে ওদের নতুন স্পিনারও (মিরাজ) খুব ভালো করেছে। আমরা কেউই আশা করিনি, ও শুরুতে বল করবে। বেশ কিছুটা সময় ও ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিল। এখানে এসেই হুট করে এরকম বল করাও সহজ নয়। ওদের ফাস্ট বোলাররাও বেশ উপভোগ করেছে বলেই মনে হলো। যতই এরকম কন্ডিশনে বেশি বেশি খেলবে, ততই আরও ভালো করবে বলে আমার বিশ্বাস।"


    দেশের বাইরে বিশেষ করে টেস্টে বাংলাদেশের ক্রমোন্নতিও মুগ্ধ করছে টেলরকে, "আমার তো মনে হয় ওরা দারুণ করছে। সত্যি কথা বলতে কী, দেশের বাইরে ওদের খুব বেশি খেলার অভিজ্ঞতাও যে আছে তাও নয়। যতই ওরা খেলবে, ততই আরও ভালো করতে পারবে।"