• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    সাকিবের বোলিংয়েই 'বড়' লিডের আশা

    সাকিবের বোলিংয়েই 'বড়' লিডের আশা    

    পুরোনো বলে তিন ওভার। দ্বিতীয় নতুন বলেও তামিম ইকবাল বোলিংয়ে আনলেন মেহেদী হাসান মিরাজকেই। ‘ব্রেকথ্রু’ এলো না, ল্যাথাম-নিকোলস জুটি পেরিয়ে গেল ১০০ রান। ল্যাথাম এরপর টেস্টে নিজের আগের সর্বোচ্চ স্কোর ১৩৭ পেরিয়ে গেলেন। হেনরি নিকোলসের ফিফটিও হয়ে গেল। তাসকিন, শুভাশীসের পর কামরুল এলেন, কিউই জুটির জন্য হুমকি তৈরী করতে পারলেন না। ল্যাথাম পেলেন প্রথম ‘ড্যাডি হান্ড্রেড’, চার মেরেই।

    সাকিব আল হাসান এলেন। নিকোলসও ফিরলেন। লেগ স্ট্যাম্প দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়া বলটা গ্লান্স করতে গিয়েছিলেন, লেগস্লিপে ক্যাচটাই দিতে পারলেন শুধু। বাংলাদেশের নিজেদের করে নেয়া প্রথম ওভার চতুর্থ দিনে। ডি গ্র্যান্ডহোম এলেন, একটা ইনসাইড-এজও গেল শর্ট লেগে।

    তবে সাকিবের ওভারের রেশটা কাটলো একটু পরেই। গ্র্যান্ডহোম শুভাশীসকে মারলেন চারের পর ছয়। প্রথমে স্কয়ার কাটে চার, পরে পুল করে ছয় মেরেছিলেন, শুভাশীস পরের বলটা করলেন একটু ফুললেংথে। শরীর থেকে দূরে থাকা বলটা জায়গায় দাঁড়িয়েই খেলতে গেলেন, আন্ডার-এজ হয়ে ক্যাচ গেল ইমরুলের কাছে। এর আগে ল্যাথাম একটা সুযোগ দিয়েছিলেন, তাঁর একটা 'কঠিন' ক্যাচ দ্বিতীয় স্লিপে দারুণ প্রচেষ্টাতেও ধরতে পারেননি মিরাজ।  

    সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ধারা ভাঙ্গলেন ল্যাথাম, প্রথমে একটি চার, পরের ওভারে আরেকটি ছয় মেরে। ইনিংসে কিউইদের সেরা ব্যাটসম্যান ল্যাথাম অবশেষে হার মানলেন সাকিবের কাছেই। স্ট্যাম্প ধরে বল করে যাওয়া সাকিবের ফুললেংথের বলটা সুইপ করতে গিয়ে হলেন ব্যর্থ, হলেন এলবিডাব্লিউ।

    বেসিন রিজার্ভে কোনো কিউই ওপেনারের সর্বোচ্চ স্কোর গড়া ল্যাথাম ফিরলেন। বাংলাদেশ পেলো সেশনের তৃতীয় উইকেট। নতুন ব্যাটসম্যান মিচেল স্যান্টনার, আগে থেকে আছেন বিজে ওয়াটলিং। প্রথম সেশনে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১১০ রান, ফলো-অন এড়ালেও পিছিয়ে আছে ১৯৩ রানে। হাতে আছে চার উইকেট।