• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    এভারেস্ট-টপকানো জয়ে শুরু কোহলি-যুগের

    এভারেস্ট-টপকানো জয়ে শুরু কোহলি-যুগের    

    ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩৫০/৭ ( রুট ৭৮, রয়  ৭৩; পান্ডিয়া ২/৪৬)
    ভারত ৪৮.১ ওভারে ৩৫৬/৭ (কোহলি ১২২, যাদব ১২০; বল ৩/৬৭)
    ফলঃ ভারত ৩ উইকেটে জয়ী


    বিরাট কোহলির জন্য "কীর্তিটা" তেমন কিছুই নয়। রান তাড়া করে তিনি সেঞ্চুরি না করলেই তো সেটা অবাক হওয়ার মতো। ক্যারিয়ারে ২৭টি সেঞ্চুরির ১৭টিই এসেছে পরে ব্যাট করে, এই তথ্যেও হয়তো খুব বেশি চমকে যাবেন না। হার্শা ভোগলে তো বলেছেনই, কোহলির কাছে এ হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মেজে রোজকার কাজ করার মতোই। তারপরও আজকের সেঞ্চুরিটা কোহলির কাছে একটু অন্যরকমই। নিজে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি, সেটা কোহলি তো অবশ্যই মনে রাখবেন। খুব বেশি ম্যাচে তো এমন হয় না। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতে কোহলি-যুগের শুরুটা দারুণ এক জয় দিয়ে হলো, আপাতত সেটাই বেশি আপ্লুত করবে নতুন অধিনায়ককে। 


    তবে তারপরও দিনটা কোহলির ঠিক পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না। বরং আরেক সতীর্থের ব্যাটের দ্যুতিতে যেন কিছুটা আড়ালেই চলে গেছেন আজ। সেটার জন্য কোহলি অবশ্য একটুও রাগ করবেন না। ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের ৩৫০ রান যখন মনে হচ্ছিল এভারেস্ট উচ্চতায়, দুজন শেরপা হয়ে সেই চূড়ায় উঠে গেলেন তরতর হয়ে। সেখানে বরং যাদবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতেই হিমশিম খেতে হয়েছে কোহলিকে। মাত্র ৬৫ বলেই সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন কেদার, ভারতের হয়েই ওয়ানডেতে এর চেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে মাত্র চারটি। এর মধ্যে দুইটি কোহলির, অন্য দুইটি শেওয়াগ ও যুবরাজের। 


    দুজনের জুটি যখন ভেঙেছে, তখন ভারতের জয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তার আগে জুটিতে উঠে এসেছে ২০০ রান, সেটাও মাত্র ২৪ ওভার ৩ বলে। কোহলি আউট হয়ে যাওয়ার পর যাদব এক পায়ে ক্র্যাম্প নিয়েই স্টোকসদের শাসন করে গেছেন আরও কিছুক্ষণ। একটা সময় অবশ্য ৭ উইকেট ফেলে দিয়ে ম্যাচে ফেরার আশা জাগিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু অশ্বিন-পান্ডিয়া শেষে আর ভজঘট পাকাতে দেননি। 


    অথচ শুরুতে ব্যাট করে দারুণ শুরুই করেছিল ইংল্যান্ড। কেউ সেঞ্চুরি পাননি, জেসন রয়, জো রুট, বেন স্টোকসসহ সবাই পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী ব্যাট করেছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলে যখন যখন কোহলি আছেন, কোনো রানই যে নিরাপদ নয়!