• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    মান রাখলেন নবীনরাই

    মান রাখলেন নবীনরাই    

    নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশঃ ২য় টেস্ট ১ম দিনের খেলা শেষে

    বাংলাদেশ ২৮৯ (সৌম্য ৮৬, সাকিব ৫৯, নুরুল ৪৭; সাউদি ৫/৯৪, বোল্ট ৪/৮৭)


    বিপর্যয়টা অনুমিতই ছিল। ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়া দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানকে ছাড়া যেখানে একাদশ সাজাতেই হিমশিম খাচ্ছিল বাংলাদেশ, মাঠের পারফরম্যান্স সেখানে কতোটা শোচনীয় হতে পারে- জল্পনাটা ছিল সে নিয়েই। তবে সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার দিনে সফরকারীদের মান বাঁচিয়েছেন নবীনরাই। সাকিবের সাথে সৌম্যর আশা জাগানিয়া ১২৭ রানের জুটির পর অভিষিক্ত নুরুল হাসান সোহানের অল্পের জন্য হাতছাড়া হওয়া অর্ধশতক পুঁজি করে ক্রাইস্টচার্চে প্রথম দিনের খেলা শেষে প্রথম ইনিংসে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান করেছে বাংলাদেশ।

     

     

    দিনের শুরুতে তামিম-মাহমুদউল্লাহ ফিরে যাওয়ার পর সাকিব আল হাসানের সাথে হাল ধরেছিলেন সৌম্য সরকার। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। সেটা শতক হতে পারতো অনায়াসেই। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের ৬ষ্ঠ ওভারে বোল্টের ফুলার এগিয়ে এসে পুশ করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালেন, শর্ট কাভারে ভাসা বলটা তালুবন্দী করে তাঁকে ৮৬ রানেই থামিয়ে দেন গ্র্যান্ডহোম। এক ওভার বাদে সাব্বিরকে (৭) থিতু হওয়ার আগেই ফেরান বোল্টই, শর্ট বলে স্লিপে সাউদির ক্যাচ বানিয়ে। পরের ওভারে সাউদির লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাওয়া ডেলিভারিটা অহেতুক ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তোলেন সাকিব, ক্যারিয়ারের কুড়িতম টেস্ট ফিফটিটা (৫৯) তুলে নেয়ার খানিক বাদেই। ২ উইকেটে ১৬৫ থেকে মুহূর্তের ব্যবধানেই বাংলাদেশ হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১৭৯।

     

    এরপর দুই অভিষিক্ত নুরুল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত ভালোই সামলাচ্ছিলেন বোল্ট-সাউদিদের বাউন্সার। কিন্তু তৃতীয় সেশনের শুরুতে সাউদির শর্ট বলে খেই হারিয়ে শর্ট ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে ফিরেন নাজমুল, ব্যক্তিগত ১৮ রানে। দু’ওভার বাদে ওয়েগনারের খাটো লেন্থের বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন মিরাজ। এক প্রান্ত আগলে নুরুল খেলছিলেন দেখেশুনেই। কিন্তু অভিষেকেই অর্ধশতক থেকে ৩ রান দূরে দাঁড়িয়ে হাঁটলেন সাকিবের পথে, বেরিয়ে যাওয়া বলটা উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন।

     

    দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের ইনিংস দিনের শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব পাবেন টেলএন্ডাররাও। তরুণ পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ২ রান করে। তবে রানের অংকে নয়, রাব্বি চমকে দিয়েছেন বলের সংখ্যায়। ওই ২ রান করতে তিনি খেলেছেন ৬৩ বল! দলের প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির সম্মিলিতভাবে যেখানে খেলেছেন সাকুল্যে ৪১ বল! আলাদা করে হিসবে করলে এই ৩ জনের চেয়ে বেশী বল খেলেছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও (২৬)। ধৈর্যটুকু টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে পাওয়া গেলে এমন ‘জোড়াতালি’র দল নিয়ে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডের চেহারাটা দিনশেষে অন্যরকম হতে পারতো।


    নিউজিল্যান্ডের হয়ে টিম সাউদি ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠবারের মতো নিয়েছেন ৫ উইকেট। বোল্ট পেয়েছেন ৪টি।