অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের দুঃস্বপ্ন চলছেই
দু:সময়টা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না লিভারপুলের। নতুন বছরে ম্যাচ খেলেছে আটটি, এর মধ্যে হার ৪টি, ড্র ৩টি, জয় মাত্র ১টিতে! ইংলিশ লিগের সম্ভাবনা অনেকটাই ফিকে, গত সপ্তাহে বাদ পড়েছে লিগ কাপ থেকেও। এবার নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডেই দ্বিতীয় বিভাগের উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের কাছে ১-২ গোলে হেরে বাদ পড়ে গেল লিগ কাপ থেকেও।
একসময় প্রায় দু যুগ পর লিগ জয়ের স্বপ্নও দেখছিল 'ক্লপাইট'রা। কিন্তু ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে সব সম্ভাবনা। শুরুর দিকে লিগের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়েই হচ্ছে টানাটানি। মাত্র দিন তিনেক আগেই ইএফএল কাপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে কৌতিনহোদের।
দুই দলের শক্তির পার্থক্য মাঠে একদমই অনূদিত হয়নি। অ্যানফিল্ডে দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই লিড নেয় 'উলভস'! মাত্র ৫৩ সেকেন্ডে কস্তার ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে লিভারপুলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন স্টিয়ারম্যান। একাধিক পরিবর্তনের ফলে ম্যাচজুড়েই লিভারপুলের আক্রমণভাগ ছিল নিষ্ফলা। উল্টো ৪১ মিনিটে কস্তার পাস থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আন্দ্রেয়াস ওয়াইম্যান। এ নিয়ে অ্যানফিল্ডে শেষ ৪ ম্যাচে ৩ বার জাল খুঁজে পেলেন ওয়াইম্যান। এই মাঠে শেষবার অ্যাস্টন ভিলার হয়ে এসেছিলেন, সেবারো জয়সূচক গোলটা এসেছে এই অস্ট্রিয়ানের পা থেকেই। দুয়ো শুনেই প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়তে হলো লিভারপুলকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কৌতিনহো নামলেও উলভস রক্ষণভাগকে তেমন একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি লিভারপুল। ৮৬ মিনিটে ওরিগির গোলে 'লাইফলাইন' পেলেও সমতায় আর ফিরতে পারেনি তারা। মাঝে বডভারসন ও কস্তা দুটো সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে লজ্জাজনক হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হত লিভারপুলকে।
এফএ কাপে লিভারপুলের শেষ তিন হার এসেছে দ্বিতীয় বিভাগের দলগুলোর বিপক্ষেই (বার্নসলি '০৮, রিডিং '১০, উলভস '১৭)। নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে ২০০৭ এর পর এবারই প্রথম হোমে টানা তিন ম্যাচ হারলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। ৮০-৮১ মৌসুমের পর আবারো একই সপ্তাহে দুটি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল লিভারপুল।