• চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি
  • " />

     

    'একাই ম্যাচটা জেতাতে চেয়েছিলাম'

    'একাই ম্যাচটা জেতাতে চেয়েছিলাম'    

    অবিশ্বাস্য, অতিমানবীয়, অভাবনীয়। মার্কাস স্টোয়নিসের ইনিংসকে যত বিশেষণই দেওয়া হোক না কেনো, সেটা যথেষ্ট নয়। কিউইদের বিপক্ষে গতকালের মহাকাব্যিক ওই ইনিংসকে অনেকেই ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলছেন। তবে দুর্দান্ত এই ইনিংসের পরেও স্টোয়নিসকে থাকতে হয়েছে পরাজিত দলে। প্রায় নাটকীয়ভাবে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া স্টোয়নিস ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, শেষের দিকে একাই ম্যাচটা জিতিয়ে ফিরতে চেয়েছিলেন।

     

     

    ব্যাট হাতে ওই সেঞ্চুরির আগে বল হাতে নিয়েছেন ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দলকে জয়টা এনে না দিতে পেরে খানিকটা হতাশ স্টোয়নিস, “এরকম একটা ইনিংস খেলার পর পরাজিত দলে থাকাটা একটু কষ্টকর বটে। আসলে এরকম খেলবো সেটা কখনোই ভাবিনি! একজন অলরাউন্ডার হিসেবে আপনি এর চেয়ে ভালো ম্যাচ পেতে পারেন না। পুরো সময়েই অনেক চাপ নিয়ে খেলতে হয়েছে।”


     

    ‘চাপ’ শব্দটা অবশ্য স্টোয়নিসের ইনিংস দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না! চার ছক্কার বন্যা বইয়ে কিউই বোলারদের তুলোধুনো করেছেন। শেষ উইকেটে গড়া অবিশ্বাস্য সেই জুটিতে একটিও বল খেলতে দেননি হ্যাজলউডকে। স্টোয়নিস জানালেন, জয়ের কাছে গিয়ে অলআউট হওয়ার কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি, “হ্যাজলউডের সাথে জুটির সময় আমার পরিকল্পনা ছিল যত বেশি সম্ভব আমিই স্ট্রাইকে থাকবো। প্রথম চার-পাঁচ বল খেলার পর শেষ বলে গিয়ে রান নিয়েছি এজন্যই। অনেক সময় জুড়ে ক্রিজে ছিলাম, তাই নিজের কাঁধেই দায়িত্বটা নিতে হতো। ভেবেছিলাম শেষে ছর-চার মেরেই খেলাটা শেষ করে দেবো। কিন্তু সেটা আর হয়নি। উইলিয়ামসন দারুণ একটা রান আউট করেছেন হ্যাজলউডকে। তাঁর অধিনায়কত্বের প্রশংসাই করতে হয়।”

     



    উইলিয়ামসনের সেই রান আউট এক মুহূর্তেই স্টোয়নিসের স্বপ্নটা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। তবে ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নটা আবারো জোড়া লাগাতে নিশ্চয়ই চাইবেন, “গতকাল যা হয়েছে সেটা আমি আজীবন মনে রাখব। দর্শক, সতীর্থ এবং প্রতিপক্ষের সবাই আমার পাশে ছিল ওই মুহূর্তে। সামনের দিনগুলোতে এটাই হবে আমার অনুপ্রেরণা।”