• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    ৬ উইকেটের পর শুভাগতর সেঞ্চুরি

    ৬ উইকেটের পর শুভাগতর সেঞ্চুরি    

    অফ স্পিনে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন আগের দিনই। তবে শুভাগত হোমের কীর্তির তখনও বাকি ছিল অনেক কিছু। দল যখন বিপদে, চাপের মুখে খেললেন ১০০ রানের সেঞ্চুরি। জাতীয় লিগে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৬ উইকেটের কীর্তিটাও হয়ে গেল।

    সেন্ট্রাল জোনের হয়ে আগের দিন ছয় উইকেট নিয়ে একাই প্রায় ধসিয়ে দিয়েছিলেন সাউথ জোনকে। তবে কঠিন পরীক্ষাটা ছিল ব্যাট হাতে, প্রতিপক্ষ সাউথ জোনে যে মুস্তাফিজ, রুবেল, রাজ্জাকদের মতো বোলার ছিলেন। একটা সময় ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল সেন্ট্রাল জোন। সেখান থেকে টেনে তুলেছেন শুভাগতই। সপ্তম উইকেটে তাইবুরকে নিয়ে ৯৯ রানের জুটিতে দলকে লিড পাইয়ে দিয়েছেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজে যখন আউট হয়েছেন, তার ঠিক আগেই হয়ে গেছে সেঞ্চুরি। ১১টি চার ও একটি ছয়ে সেই সেঞ্চুরিও এসেছে মাত্র ১২৫ বলে। জাতীয় লিগে এর আগে এক ম্যাচে ছয় উইকেট ও সেঞ্চুরির কীর্তি ছিল তিনজনের। ২০০৬ সালে বরিশালের মার্শাল আইয়ুব প্রথম সেটি করেছিলেন। এরপর প্রয়াত মানজারুল ইসলাম রানা  ও সোহাগ গাজী সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করেন।

    তবে মুস্তাফিজ-রুবেলকে ছাপিয়ে আরও একবার সাউথ জোনের হয়ে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন রাজ্জাকই।  মুস্তাফিজ অবশ্য ১৮ ওভার বল করে ৩৪ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট। রুবেলও ৫৭ রান দিয়ে পেয়েছেন দুই উইকেট। তবে ১১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রাজ্জাকই ছিলেন সফলতম বোলার।অলআউট হওয়ার আগে সেন্ট্রাল জোন ৩৯ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে, পরের দুই দিন বিকেএসপিতে রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচই হওয়ার কথা।

    ফতুল্লায় ইস্ট জোন ও নর্থ জোনের ম্যাচটা সেই তুলনায় একটু ম্যাড়ম্যাড়েই। দ্বিতীয় দিনে ৪৯০ রানে অলআউট হয়েছে ইস্ট জোন, আগের দিন আফিফের পর ইয়াসির আলিও পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ইয়াসিন আরাফাত ও সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন তিন উইকেট। দ্বিতীয় দিন শেষে নর্থ জোন কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ২৮ রান।