• ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    'ভারত ক্রিকেটের সোনার ডিম পাড়া হাঁস'

    'ভারত ক্রিকেটের সোনার ডিম পাড়া হাঁস'    

    ২০১৪ সালে চালু হওয়ার পর থেকেই এই নীতির বিরোধিতা করে আসছে অনেক টেস্ট খেলুড়ে দেশ। তবে এই মাসের শুরুতেই আইসিসির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ‘তিন মোড়লের নীতি’ থেকে সরে আসবে তাঁরা। ফলে আইসিসির বার্ষিক লভ্যাংশের যে বড় একটা অংশ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পেত, সেটা আর হচ্ছে না। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী মনে করেন, ভারত হচ্ছে ক্রিকেটের ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’। তাই এরকম সিদ্ধান্তের ফলে ক্রিকেটই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

     

    আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভবিষ্যতে লভ্যাংশের ‘সমান বন্টন’ হবে। শাস্ত্রী ব্যাপারটিকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না, “প্রায় ৮০ শতাংশ আয় ভারত থেকেই আসে। এরপরও তাঁরা বলে ভারত বেশি চাইছে! সবার চেয়ে বেশি চাওয়ার হক অবশ্যই বিসিসিআইয়ের আছে। আমার তো মনে হয় সব আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে আয় করা অর্থের ভাগ পাওয়া উচিত ভারতের। কারণ তাঁরাই ক্রিকেট বিশ্বের পথ প্রদর্শক। অনেকেই আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তাঁদেরকে কিছু বলার নেই। তবে শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ডকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের পাশে থাকার জন্য। গত ১৫-২০ বছর ধরে আমরা শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়েকে সাহায্য করে আসছি ক্রিকেটের ব্যাপারে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিরোধিতা দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি। ”

     

     

    ওই নীতি বাতিলের প্রতিবাদে আপত্তি জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তারা। শাস্ত্রীও আইসিসিকে তাঁদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন, “আইসিসির বোঝা উচিত বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের গুরুত্ব কতটুক। তাঁরা হয়তো ওই গল্পটা শুনেছে। সোনার ডিম পাড়া  হাঁসকে যদি মেরে ফেলা হয় তাহলে পরিণতি ভালো হয় না। হাঁসের যত্ন নিন, এটা আপনাকে অনেক কিছুই এনে দেবে।”

     

    ২৩ ফেব্রুয়ারি পুনেতে শুরু হচ্ছে বহুল আলোচিত ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। শাস্ত্রী মনে করেন, লড়াইটা দারুণ জমবে, “ঘরের মাটিতে আমরা দুর্দান্ত খেলছি এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া অনেক বেশি কঠিন প্রতিপক্ষ হবে। তাঁদের দলের অনেকেই আইপিএলে খেলেছে। আমাদের পরিবেশের সাথে অনেক আগে থেকেই পরিচিত। তাই অজিদের হারাতে হলে ভারতকে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে ।”