• ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    'টয়লেট পেলে তো টয়লেটে যেতেই হবে'

    'টয়লেট পেলে তো টয়লেটে যেতেই হবে'    

    ওয়ার্নার-রেনশ’র সতর্ক শুরুতে দিনের প্রথম সেশনটা ভারতকে উইকেটশূন্যই থাকতে হত। কিন্তু লাঞ্চের আগে পাঁচ ওভারের মতো খেলা বাকি থাকতে উমেশ যাদবের প্রথম ওভারে বোল্ড হয়ে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। ঘটনা অবশ্য সেখানে নয়। খানিক বাদে ওয়ার্নারের পিছু নেন ম্যাট রেনশ, কিন্তু আউট হয়ে নয়! পরে জানা গেলো পেটের পীড়া নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন অজি ওপেনার। আর এমন ঘটনায় বেজায় চটে তরুণ ব্যাটসম্যানকে এক হাত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার। দিনের খেলা শেষে বোর্ডারকে জবাব দিয়েছেন রেনশও।

     

    ওয়ার্নার আউট হওয়ার পরপরই রেনশ’কে দেখা যায় আম্পায়ারের সাথে কথা বলতে। এরপর তিন নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে প্রবেশ করা অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের সাথেও কথা বলেন তিনি। এ সময় ড্রেসিং রুমের সাথে কয়েক দফা সংকেত বিনিময়ের পর মাঠ ছাড়েন রেনশ, উইকেটে আসেন শন মার্শ। পরে অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজম্যান্টের তরফে জানানো হয় যে, ‘পেটে অস্বস্তি’ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই ব্যাটসম্যান।

     

     

    তবে এমন ‘অজুহাত’ ধোপে টেকে নি বোর্ডারের কাছে। ১৯৮৬ সালে চেন্নাই টেস্টে মহাকাব্যিক দু’শ রানের ইনিংস খেলার পরও প্রচণ্ড গরমে পানিশূন্যতায় ভোগা ডিন জোন্সকে যিনি মাঠ ছাড়তে দিতে চান নি তাঁর কাছে ‘সামান্য’ পেটের পীড়া গুরুত্ব পাবে না এটাই স্বাভাবিক। সেদিন চা বিরতিতে ড্রেসিং রুমে ফিরে জোন্স ‘রিটায়ার হার্ট’ হতে চাইলে অধিনায়ক বোর্ডারের জবাব ছিল, “তুমি চাইলে তোমার উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে পারো, তবু আমি তোমাকে রিটায়ার হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে দেবো না।” এরপর আর ৮ রান যোগ করে ২১০ রান নিয়ে আউট হয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন জোন্স।

     

    রেনশকে তাই ধুয়ে দিতে ছাড়ছেন না বোর্ডার, “আশা করি সে এখন ওখানে অর্ধমৃত অবস্থায় শুয়ে আছে। তেমন কিছু না হলে অধিনায়ক হিসেবে আমি এটা মেনে নেব না। আমার মনে হয় না আমি এর আগে কখনও এমন কিছু ঘটতে দেখেছি। তাঁর হয়তো পেটে খানিক অস্বস্তিবোধ হচ্ছিল এবং সে ওয়ার্নারের আউট হওয়ার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে চটজলদি টয়লেট থেকে ঘুরে আসতে চাইছিল। আমি ভাবতেও পারছি না যে সামান্য অসুস্থতার জন্য কেউ এভাবে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে পারে। ওয়ার্নার ওই সময় আউট না হলে হয়তো এটা তাঁর মাথায়ই আসতো না। সে হয়তো ভেবেছিল নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে আসতে আসতে কাজটা সেরে আসা যাক।”

     

    লাঞ্চের আগের ওই ক’ ওভারের খেলায় আরেকটা উইকেট গেলে সে দায়টা রেনশকেই নিতে হত বলে মন্তব্য বোর্ডারের, “শন মার্শ যদি ওই পনেরো মিনিটের মধ্যে আউট হয়ে যেতো তাহলে অধিনায়ক হিসেবে মেজাজ ঠিক রাখাটা কঠিন হয়ে যেতো আমার জন্য।”

     

    মার্শ অবশ্য নিরাপদেই সময়টুকু কাটিয়ে এসেছিলেন। তৃতীয় উইকেটের পতনের পর রেনশও আবার মাঠে নেমে খেলেছেন ৬৮ রানের ঘাম ঝড়ানো এক ইনিংস। দিনের খেলা শেষে বোর্ডারকে জবাব দিতেও ছাড়েন নি ২০ বছর বয়সী ওপেনার, “তিনি যেভাবে বেড়ে উঠেছেন সেভাবে চিন্তা করবেন এটাই স্বাভাবিক। এটা তাঁর মানসিকতা হতে পারে। কিন্তু স্টিভ (স্মিথ) মোটেও এমন না। একজন মানুষের টয়েলেটে যাওয়ার প্রয়োজন হলে তাঁকে যে যেতেই হবে এটুকু সে বোঝে।”