১১ রানেই ৭ উইকেট হারাল ভারত
অবিশ্বাস্য কথাটাও একটু কম হয়ে যাবে। নিজেদের মাটিতে শেষ কবে ভারতের ব্যাটিং এমন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে, সেটা মনে করাও তো একরকম অসম্ভব। ৯৪ রানে ৩ উইকেট দেখে যারা টিভি সেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন, আধ ঘন্টা পর টিভি ছেড়ে তারা নিশ্চয় চমকে উঠেছেন। ১১ রানে যে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ভারত, অলআউট হয়ে গেছে ১০৫ রানে। ৬ উইকেট নিয়ে স্টিভ ওকিফ একাই শেষ করে দিয়েছেন ভারতকে।
সকালের শুরুটা অবশ্য করেছিলেন দুই পেসার। মুরালি বিজয়কে ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম আঘাত জশ হ্যাজলউডের। তবে ভারতের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া ওভারটি করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। প্রথমে লাফিয়ে ওঠা একটি বলে ফিরিয়ে দিয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা,দুর্দান্ত ওই বলে পূজারার খুব বেশি কিছু করার ছিল না। তবে দুই বল পর যে আউটে পুনে স্তম্ভিত হয়ে গেল, সেখানে স্টার্কের কৃতুত্বের চেয়ে কোহলির ব্যর্থতাই বেশি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
তবে আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে লোকেশ রাহুল বিপদটা কাটিয়ে উঠবেন বলেই মনে হচ্ছিল। চতুর্থ উইকেটে দুজন ঠিক ৫০ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু ৯৪ রানে ওকিফির বলটা উড়িয়ে মারতে গিয়েই লোকেশ রাহুল ফিরে যান। সেই শুরু। এরপর অবিশ্বাস্য এক স্পেলে একে একে ঋদ্ধিমান, জাদেজা, জয়ন্ত ও উমেশ যাদবকে তুলে নিয়েছেন ওকিফ। মধ্যে শুধু অশ্বিনকে ফিরিয়ে দিয়েছেন লায়ন। শেষ পর্যন্ত ভারত অলআউট হয়েছে ১০৫ রানে। নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে এটাই তাদের ৭ উইকেট হারানোর রেকর্ড। প্রথম ইনিংসে এর মধ্যেই ১৫৫ রানে পিছিয়ে গেছে ভারত। নিজেদের ইতিহাসে ১০০র বেশি রান পিছিয়ে থেকে ভারতের টেস্ট জয়ের কীর্তি আছে দুইটি। ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ১৩১ রানে পিছিয়ে থেকেও জিতেছিল পোর্ট অব স্পেনে। আর ২০০১ সালের ইডেন গার্ডেনের ওই টেস্ট তো ক্রিকেট রূপকথারই অংশ হয়ে গেছে।