• ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    ও'কিফ-স্মিথে অস্ট্রেলিয়ার স্বপ্নের দিন

    ও'কিফ-স্মিথে অস্ট্রেলিয়ার স্বপ্নের দিন    

    ২০১২ সালে দেশের মাটিতে সর্বশেষ হেরেছিল ভারত। আর এশিয়ার মাটিতে সর্বশেষ নয় টেস্টে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। আজকের দিনের দিকে তাকালে দুইটি পরিসংখ্যানই হাস্যকর মনে হতে পারে। ১১ রানে ভারতের ৭ উইকেট ফেলে দেওয়া, তারপর ৬ উইকেট হাতে রেখে এখনই প্রায় ৩০০ রানে এগিয়ে যাওয়া- এমন স্বপ্নের দিন স্টিভ স্মিথ কি আজ সকালে ভেবেছিলেন?

    সেজন্য কিছুটা কৃতিত্ব স্মিথ নিজেও দাবি করতে পারেন। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন দরকার ছিল, তখনই অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের ব্যাট চওড়া হয়েছে। ১০ রানে ওয়ার্নার আউট হয়ে যাওয়ার পর নেমেছিলেন। এরপর শুন্য রানে শন মার্শ ফিরে গেলে অস্ট্রেলিয়া অশনী সংকেতই দেখছিল। এরপর হ্যান্ডসকম্বের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটিতে ধসটা সামলেছেন। চতুর্থ উইকেটে রেনশর সঙ্গে মিলে তো বড় কিছুরই আশা দেখাচ্ছিলেন। জয়ন্ত যাদবকে ডাউন দ্য উইকেটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রেনশ উইকেট বিলিয়ে দিয়ে না এলে অস্ট্রেলিয়ার দিনটা আরও মধুর হতে পারত। পরে মিচেল মার্শের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানের জুটিতে দিনটা পার করে দিয়েছেন স্মিথ।

    সেজন্য অবশ্য কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন স্মিথ। তিন বার ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন। দুই বার দুর্ভাগা বোলার ছিলেন অশ্বিন, একবার জাদেজা।  সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন খুব ভালোভাবেই। ফিফটি করার পর ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ১ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলেছেন। পুনের উইকেট এখনই আরও ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি হয়ে গেছে। তৃতীয় দিনে বোলারদের চোখ আরও বেশি চকচক করার কথা।

    তবে তার আগে অস্ট্রেলিয়াকে আসলে ম্যাচের লাগামটা পাইয়ে দিয়েছেন স্টিভ ও'কিফ। সকালে স্টার্ক-হ্যাজলউড মিলে ভারতের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দিয়েছিলেন। লোকেশ রাহুলের ব্যাটে যখন বড় কিছুর ইঙ্গিত, ও'কিফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তখনই হয়ে গেলেন আউট। সেই যে ধস শুরু, এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে ভারতের ব্যাটিং। মাত্র ৮ ওভারের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে ভারত, ২৫ বলের মধ্যে ছয়টি উইকেট পেয়েছেন ওকিফ। দ্বিতীয় ইনিংসেও নিশ্চয় সেরকম কিছুই করতে চাইবেন।