ও'কিফের অন্য রূপে 'হতচকিত' ওয়ার্ন
এতো দ্রুত জবাব পেয়ে যাবেন, সেটা মনে হয় শেন ওয়ার্ন দূরতম কল্পনাতেও ভাবেন নি। আজ সকালেই যে ও’কিফের বলে ‘ধার নেই’ বলে রায় দিয়েছিলেন, সেই বাঁহাতি স্পিনারেই নিজেদের মাটিতে কাবু ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ। ২৪ বলের এক প্রলয়ঙ্করী স্পেলে মাত্র ৬ রানে ৫ (সব মিলিয়ে ৩৫ রানে ৬) উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ইনিংস ১০৫ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ৩২ বছর বয়সী স্পিনারকে নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছেন ওয়ার্ন নিজেও। তবে ব্যাপারটা ‘হজম’ করতে যে তাঁকে যথেষ্টই বেগ পেতে হয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়ে থাকলো রেখেঢেকে দেয়া প্রশংসা বাক্যেও।
দিনের খেলা শুরুর আগে স্টার স্পোর্টসের আলাপচারিতায় মিচেল সোয়েপসন বা অ্যাস্টন আগারকে না নিয়ে কেন ও’কিফকে নেয়া হল- এমন প্রশ্ন তোলেন ওয়ার্ন, “ও’কিফকে আপনি ঝুকিমুক্ত পছন্দ বলতে পারেন। কারণ সে কখনও খুব বাজে বল করবে না। কিন্তু বল খুব ভালো টার্ন করিয়ে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলার সামর্থ্য তাঁর নেই। এই ধরণের কন্ডিশনে সোয়েপসন বা আগার আরও বিপদজনক বিকল্প হতে পারতো।”
এর আগে গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টেস্টে ও’কিফকে নেয়ার পর ওয়ার্নের মন্তব্য ছিল, তাঁর কাছে ও’কিফকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের বোলার বলেই মনে হয়।
সেই ও’কিফ ভারতে নিজের প্রথম টেস্টেই ওয়ার্নের ৯ টেস্টের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন। ভারতে ওয়ার্নের ক্যারিয়ারসেরা ১২৫ রানে ৬ উইকেট, সেখানে ও’কিফ প্রথম সুযোগেই ৬ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৩৫ রানে। কিন্তু ৩২ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনারের এমন দুর্ধর্ষ সাফল্যকেও পুরোপুরি তাঁর মানতে নারাজ ওয়ার্ন, “প্রথমদিকে কিন্তু সে খুব ভালো বল করছিল না। পরে প্রান্ত বদল করাতে কাজ হয়েছে।”
নিজের টুইটার একাউন্ট থেকেও একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন ওয়ার্ন, “প্রান্ত বদলেই যাদু! দারুণ ও’কিফ!”
“আসলে এই ধরণের উইকেটে তাঁর বড় ভূমিকাই রাখার কথা ছিল যেটা সে এতদিন করে দেখাতে পারে নি। আমার মনে হয় না সে দূরতম কল্পনাতেও কখনও ভাবতে পেরেছিল যে এতোটা ভালো কিছু হয়ে যাবে, যেমনটা আমরা কেউই ভাবতে পারি নি। কিন্তু তাঁকে অভিনন্দন।”
অভিনন্দনটা যে মন থেকে আসে নি ওয়ার্নের সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!