সেই স্পিনেই তিন দিনে হেরে গেল ভারত
স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ২৬০ ও ২৮৫
ভারত ১০৫ ও ১০৭ (পূজারা ৩১; ওকিফ ৬/৩৫, লায়ন ৪/৫৩)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩৩৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: স্টিভ ওকিফ
অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়। এই শব্দগুলোও আসলে যথেষ্ট নয়। ২০১২ সালের পর থেকে নিজেদের মাঠে হারেনি ভারত, অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ ভারতের মাঠে জিতেছিল সেই ২০০৪ সালে। সেই ভারতই এবার নিজেদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে হেরে গেল মাত্র তিন দিনেই! ৩৩৩ রানে ম্যাচ হেরে গেছে ভারত, নিজেদের মাঠে রানের দিক দিয়ে এর চেয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছিল শুধু অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। কাকতালীয়ভাবে ২০০৪ সালের নাগপুরের সেই জয় হয়ে ভারতের মাটিতেই অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ সুখস্মৃতি।
সংখ্যাগুলো আসলে অবিশ্বাসই জাগাবে। কদিন আগেই বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারত প্রায় সাতশর কাছাকাছি রান করল্ম তারা দুই ইনিংস মিলে করতে পেরেছে মাত্র ২১২ রান! তাও আবার মাত্র ৭৩ ওভার খেলে! ভারতের ব্যাটিং এভাবে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়ার কৃতিত্ব সবার আগে স্টিভ ওকিফই দাবি করে দিয়েছিলেন। টেস্টের আগে শেন ওয়ার্নের মতো সাবেকরা যার সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, সেই ওকিফই দুই ইনিংস মিলে নিয়েছেন ১২ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে কোনো অস্ট্রেলিয়া বোলারের এটাই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বিষেই নীল হয়েছে ভারতত। মুরালি বিজয়কে এলবিডব্লু করে শুরুটা করেছিলেন ওকিফ। কিছুক্ষণ পরে নাথান লায়নের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে গেছেন লোকেশ রাহুলই। প্রথম দুই ব্যাটসম্যান প্রশ্নবিদ্ধ দুইটি রিভিউ নিয়ে দলকে আরও ফেলে দিয়েছেন চাপে।
তবে চেতেশ্বর পূজারাকে নিয়ে কোহলি কিছু একটার আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু ওকিফের সোজা বলটা বুঝতে না পেরে ছেড়ে দিতে গিয়েছিলেন কোহলি। “আনলাকি থার্টিনে” বোল্ড! রাহানে শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলছিলেন, কিন্তু ১৮ রান করে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ওকিফের বলে। এরপর অশ্বিনকে এলবিডব্লু করে পাঁচ উইকেটও হয়ে গেছে ওকিফের। ঋদ্ধিমান সাহাও টেকেননি বেশিক্ষণ, চা বিরতির ঠিক আগেই এলবিডলু হয়ে ফিরে গেছেন ওকিফের বলেই।
আর লেজটা ছেটে দেওয়ার কাজটা লায়ন একাই করেছেন। শেষ সেশনে পূজারাকে আউট করে ভারতকে আরেকটা ধাক্কা দিয়েছিলেন ওকিফই। পরে নিজের পর পর দুই ওভারে জাদেজা, জয়ন্ত যাদব ও ইশান্ত শর্মাকে আউট করে ভারতকে ডুবিয়ে দিয়েছেন লজ্জায়।