স্মিথের কথাই বুঝতে পারেননি মার্শ!
উমেশ যাদবের ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা ছেড়ে দিলেন শন মার্শ। প্যাডে লাগলো, ডিআরএসে তখনোই হিসাবে বাইরে চলে গেল তাই ‘ইমপ্যাক্ট’। আম্পায়ার নাইজেল লং আউট দিলেন। স্টিভেন স্মিথ সরে আসলেন, প্রায় আম্পায়ার বরাবর। যেন বোঝার চেষ্টা করছিলেন, আম্পায়ার কী দেখে আউট দিলেন!
পরের ধাপ অবশ্যই দুই ব্যাটসম্যানের আলোচনা। রিভিউ নেয়া হবে কিনা। আলোচনা চললো। স্মিথ ইশারায় ‘ওয়াইড’ মতো কিছু দেখালেন। স্ট্যাম্পের বাইরে ছিল হয়তো বল। আলোচনা চললো। বয়ে চললো সময়ও। রিভিউ নেয়ার সময় শেষ, হাঁটা দিলেন শন মার্শ।
আগেই ওয়ার্নারের রিভিউটা হয়তো ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। একটা রিভিউ রেখেই দিলেন মার্শ। কিন্তু রিপ্লেতে বল-ট্র্যাকিং দেখানোর পর তো রীতিমতো আঁতকে ওঠার পালা! বল যে যেতো স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে! স্মিথ তবে কী দেখলেন তখন!
স্মিথ নাকি ঠিকই দেখেছিলেন। মার্শকে বলেছিলেনও রিভিউ নিতে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘যোগাযোগে ভাষার ভুল প্রয়োগ’। স্মিথ বলেছিলেন, ‘গো’, মানে রিভিউয়ের জন্য যেতে। আর মার্শ বুঝেছিলেন, স্মিথ তাঁকে মাঠ থেকেই চলে যেতে বলেছিলেন!
স্মিথ ব্যর্থ হয়েছেন মার্শের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। স্মিথ ব্যর্থ হয়েছেন মাঠের বাইরেও যোগাযোগ করতে। নিজে এলবিডাব্লিউ হওয়ার পর মাঠের বাইরে তাকাচ্ছিলেন, ইশারাও করছিলেন রিভিউ নিবেন কিনা তা নিশ্চিত হতে। কোহলি বাধা দিয়েছেন বুঝতে পেরে, বাধা দিয়েছেন নাইজেল লংও। স্মিথ রিভিউ নেননি, পরে স্বীকারও করে নিয়েছেন ‘ভুল’টা।