'পুনের পিচ খারাপ ছিল না'
প্রথম দিনের চতুর্থ ওভার থেকেই পিচে স্পিন ধরছিল। পুরো ম্যাচেই ছিল স্পিনারদের রাজত্ব। স্টিভ ও’কিফের ঘূর্ণিজাদুতে দারুণ এক জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পরে পুনের ওই পিচের ব্যাপারে আইসিসির কাছে রিপোর্ট করেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ব্রডের ওই মতামতের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আইসিসির কাছে চিঠি দিয়েছে।
পুনের পিচ নিয়ে বিতর্কের শেষ ছিল না। ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্রিকেটারও এটার সমালোচনায় মুখর ছিলেন। ম্যাচ শেষে আইসিসির কাছে পাঠানো রিপোর্টে পিচকে ‘খারাপ’ বলেছিলেন ব্রড। বিসিসিআই এই রিপোর্টের সাথে মোটেও একমত নয়, “পিচ খারাপ ছিল না। অস্ট্রেলিয়া সেখানে ২৬০ ও ২৮৫ রান করেছিল। খারাপ পিচের সংজ্ঞা হচ্ছে যেখানে অসম বাউন্সে ব্যাটসম্যান স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারে না। পুনেতে কি এমন হয়েছিল? আমি জানি ভারত অল্প রানেই গুটিয়ে গিয়েছে। কিন্তু স্মিথ সেঞ্চুরি পেয়েছে, রাহুলও হাফ সেঞ্চুরি করেছে। উপমহাদেশে যদি বল স্পিন না করে তাহলে কোথায় করবে? এটা মোটেও খারাপ পিচ ছিল না।”
২০১৫ সালে নাগপুরে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে পিচের বিরুদ্ধেও এরকম অভিযোগ উঠেছিল। বিসিসিআই বলছে, বারবার শুধু ভারতের পিচকে দোষ দেওয়া হয়, “২০১৫ সালে নটিংহামে যখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ৬০ রানে অলআউট হয়, তখন বলা হয়েছিল ব্যাটসম্যানদের কৌশলে সমস্যা আছে। এটা পুরোপুরি দ্বিমুখী কথা! আমরা নাগপুরের সময়ও একই কথা বলেছিলাম, তবে সেটা আইসিসি শোনেনি।”
এদিকে ১৪ তারিখ থেকে রাচিতে শুরু হচ্ছে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল, এই ম্যাচের জন্য তিনটি ভিন্ন পিচ তৈরি করা হচ্ছে এবং কোহলি যেকোনো একটিকে বেছে নেবেন। তবে এই খবরকে পুরোপুরি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পিচ কিউরেটর এসবি সিং, “এটা সত্যি আমরা ৪,৫ এবং ৭ নাম্বার পিচকে প্রস্তুত করেছি। কিন্তু আমি কখনোই বলিনি পিচের ব্যাপারে কোহলির নিজের মতামত দিতে পারবেন।”