ডুমিনিদের দিনে নিকোলসের প্রতিরোধ
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৬৮ ( নিকোলস ১১৮, ডুমিনি ৪/ ৪৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪/২ ( এলগার ৯, গ্র্যান্ডহোম ১/২ )
সকালের সূর্য দেখেই নাকি আঁচ করা যায় দিনটা কেমন যাবে। ডু প্লেসি অবশ্য আজ এটার সাথে একমত নাও হতে পারেন! বল হাতে দারুণ শুরু করলেও ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিনশেষে খুব একটা স্বস্তিতে নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনরি নিকোলসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর প্রোটিয়াদের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে কিছুটা হলেও ভালো অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড।
আগের টেস্টে চোট পাওয়া রস টেলর আজকের ম্যাচে খেলবেন না এটা প্রায় অনুমেয় ছিল। টেলরের পাশাপাশি ইনজুরির কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্টও। দুজনকে হারিয়ে আগেই কিছুটা ধাক্কা খাওয়া কিউইদের ইনিংসের শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতোই হয়েছিল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ রানের মাঝেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে উইলিয়ামসনরা। জিট রাভাল কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কেশব মহারাজের বলে তিনি ফিরলে ১০১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দল।
দলের এই পরিস্থিতিতে ক্রিজে আসেন হেনরি নিকোলস। ওয়াটলিংকে সাথে নিয়ে ১১৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন। যেখানে দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আফ্রিকান বোলারদের খেলতে হিমশিম খেয়েছেন, সেখানে খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সাথেই ব্যাট করেছে ননিকোলস। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নিকোলস ফেরেন ডুমিনির বলে। এই ডুমিনিই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়ে ভেঙে দিয়েছেন কিউইদের লোয়ার মিডল অর্ডার। ১৯৪৬ সালের পর এবারই এই মাঠে প্রথম দিনে ৫ উইকেটের বেশি পেয়েছেন স্পিনাররা । শেষের দিকে সাউদি-প্যাটেল জুটির কল্যাণে স্কোর ২৫০ পেরোয়।
দিনের তখন মাত্র ৮ ওভার বাকি। দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনাররা হয়তো ভেবেছিলেন নির্বিঘ্নেই সময়টা কাটিয়ে দেবেন। কিন্তু কিসের কী! উদ্বোধনী জুটিতে ১২ রান ওঠার পর ৫ বলের ব্যবধানেই ফেরেন ডিন এলগার ও স্টিফেন কুক। হাশিম আমলার সাথে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রাবাদা ৮ রানে অপরাজিত আছেন।