• নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    ইনিংস হারের শঙ্কায় দক্ষিণ আফ্রিকা

    ইনিংস হারের শঙ্কায় দক্ষিণ আফ্রিকা    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১৪ ও ৮০/৫ ( ডু প্লেসি ১৫*, ডি কক ১৫*, প্যাটেল ২/২২)

    নিউজিল্যান্ড ৪৮৯


     

    নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করার পর প্রায় আড়াই দিন ফিল্ডিং করা দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ক্রিকেটারদের মুখে ক্লান্তির ছাপটা স্পষ্ট ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এজন্যই হয়তো ধৈর্য রাখতে পারেননি আমলা- ডুমিনিরা। হ্যামিল্টন টেস্টের চতুর্থ দিনশেষে ৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে ৫ উইকেট হারিয়ে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় পড়েছে প্রোটিয়ারা।

     

    গতদিনের রেকর্ড ছোঁয়া সেঞ্চুরিয়ান উইলিয়ামসন আজ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কিউই ব্যাটিং অর্ডারের লেজকে নিয়ে অবশ্য দুর্দান্ত লড়েছেন কলিন গ্র্যান্ডহোম। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে দলের লিড নিয়ে যান ১৭৫ রানে। সকালের সেশনে রানের গতি মন্থর থাকলেও গ্র্যান্ডহোমের ব্যাটে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ফুটেছে। মরকেল-রাবাদাদের হতাশ করে কিউইরা ব্যাট করেছে ১৬২ ওভার। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২য় টেস্টের পর এত দীর্ঘ সময় ফিল্ডিং করতে হয়নি আমলা-ডু প্লেসিদের।

     

     

    বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের অনেক ওভার নষ্ট হয়েছে প্রথম দুই দিনে। এরপর দুই দলই নিজেদের প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর করায় ‘ম্যাড়ম্যাড়ে’ ড্রয়ের কথাই ভাবছিলেন সবাই। কিন্তু আজকের দিনের শেষ সেশনে গিয়ে ম্যাচটা জমিয়ে তুলেছে কিউইদের দুর্দান্ত বোলিং। এলগার, আমলা, ডুমিনি কেউই আজ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। শুরুতে কিছুটা আশা জাগালেও আমলার সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন ব্রুনও।

     

    দিনের তখনো এক ঘণ্টার মতো খেলা বাকি। ৫৯ রানেই ৫ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা রীতিমত ধুঁকছে। দলের কঠিন সময়ে হাল ধরেন অধিনায়ক ডু প্লেসি। প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করা ডি কক ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন তাঁকে। আগামীকাল এই দুজনের ওপরই নির্ভর করছে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাগ্য।