নিউজিল্যান্ডকে ইতিহাস গড়তে দিল না দক্ষিণ আফ্রিকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ২৬৮, ১৭১ ( রাভাল ৮০, মহারাজ ৬/৪০)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫৯, ৮৩/২ ( আমলা ৩৮*, সাউদি ১/১৭)
ফলাফল-দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অফ দা ম্যাচ- কেশব মহারাজ
মরকেল, রাবাদা, ফিল্যান্ডারদের সামলানোর ছকই হয়তো কষেছিলেন উইলিয়ামসনরা। শেষ পর্যন্ত কেশব মহারাজের স্পিনেই ঘায়েল হলো নিউজিল্যান্ড। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র তিনদিনেই ওয়েলিংটন টেস্টে সহজ জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ডু প্লেসিরা।
টেস্টের শুরুর দিকে নিয়ন্ত্রণটা প্রোটিয়াদের হাতেই ছিল। কিউইদের মাত্র ২৬৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর অবশ্য ম্যাচের মোড় খানিকটা ঘুরে যায়। গতকাল ৯৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার কাণ্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হন টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। তাঁদের ১৬০ রানের জুটির কল্যাণেই ম্যাচে ফেরে আফ্রিকা। শেষের দিকে মরকেল ও ফিল্যান্ডার দলের লিড ১০০ কাছাকাছি নিয়ে যান।
আজ সকালে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের মতো আজও শুরু থেকেই চাপে ছিল কিউইরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তাঁরা। যেন আজ মহারাজের স্পিন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেননি নিকোলস- গ্র্যান্ডহোমরা। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে, ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনিই। আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মহারাজ। ১৯৭৩ সালের পর কোনো সফরকারী দলের স্পিনার পরপর দুই ম্যাচে ৫ উইকেট পাননি। শেষবার এই কীর্তি করেছিলেন ইন্তিখাব আলম। আজ তিন অংক ছুটে পেরেছেন মাত্র তিনজন কিউই ব্যাটসম্যান। অন্যদের যাওয়া আসার মাঝে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন জিত রাভাল। তাঁর কৃতিত্বেই ইনিংস পরাজয় এড়ায় নিউজিল্যান্ড। তবে লিড খুব একটা বেশি হতে দেননি মরকেলরা।
মাত্র ৮১ রানের লক্ষ্যটা অনায়াসেই পেরিয়েছে প্রোটিয়ারা। ৮ উইকেট হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়াতে সাহায্য করেছেন হাশিম আমলা ও ডুমিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কখনোই টেস্ট সিরিজ না জেতার আক্ষেপটা এবারো থেকে যাচ্ছে কিউইদের। পরের টেস্ট জিতলেও সিরিজে ড্র নিয়েই খুশি থাকতে হবে উইলিয়ামসনকে।