স্মিথ-ম্যাক্সওয়েলে অস্ট্রেলিয়ার দিন
স্কোর
১ম দিন শেষে
অস্ট্রেলিয়া ৯০ ওভারে ২৯৯/৪ (স্মিথ ১১৭*, ম্যাক্সওয়েল ৮২*; যাদব ২/৬৩)
৪ উইকেটে ২৯৯ রান। ঠিক যেন এই সিরিজের সঙ্গে মেলানো যায় না। ব্যাটিং সংহারী উইকেটে প্রতিটি রান যেখানে মহার্ঘ্য, উইকেট যেখানে সুলভ, সেখানে রাঁচি টেস্টের প্রথম দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার এই রান তো পাহাড়ে চড়ে বসার মতোই। সেই এভারেস্টে ওঠার পথে স্টিভেন স্মিথ যদি এডমুন্ড হিলারি হন, তাহলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তেনজিং নরগে হতেই পারেন।
স্মিথের জন্য অবশ্য রান করা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে তো বটেই। এমন রানখরার সিরিজেও এটা স্মিথের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ভারতের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে দুই সেঞ্চুরির কীর্তি আছে শুধু ক্লাইভ লয়েড ও অ্যালিস্টার কুকের (এর মধ্যে লয়েডের আছে দুইবার)। সব মিলে ভারতের বিপক্ষে স্মিথের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, এর মধ্যে হয়ে গেছে পাঁচ হাজার রানও। তাঁর চেয়ে কম টেস্টে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন শুধু ব্র্যাডম্যান ও গাভাস্কার। আজও সকালের বিপর্যয় সামলে যেভাবে ব্যাট করলেন, স্মিথ আরও অনেক অনেক রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবেন এই বাজি ধরাই যায়।
তবে ম্যাক্সওয়েলের হয়ে সেই বাজি বোধ হয় কেউই ধরেননি। ওয়ার্ন, গিলেস্পিসহ অনেকেই তাঁকে প্রথম দুই টেস্টে দলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এমনিতেই সুযোগ পেতেন হয়তো, মিচেল মার্শের চোটে সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়। তবে আগের তিন টেস্টে ৮০ রান বলছিল, পাঁচদিনের ফরম্যাটটা ঠিক তাঁর জন্য নয়। তবে ম্যাক্সওয়েল ঠিক করে রেখেছিলেন, টেস্টের নতুন শুরুটা এই ইনিংস দিয়েই হবে। স্বভাববিরুদ্ধ সংযমী ইনিংস খেলেছেন, ১৪৭ বলে ৮২ রান বলছে সে কথাই। তবে সুযোগ পেলেই খেলেছেন বড় শট, দুইবার দড়ির ওপারে আছড়ে ফেলেছেন জাদেজাকে।
স্মিথের সঙ্গে যখন জুটি বেঁধেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া ১৪০ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ৪ উইকেট। সেখান থেকে ৩০০ ছুঁতে পারাই হতো বাস্তবসম্মত স্কোর। কিন্তু দুজন ঠিক ১৫৯ রান যোগ করেছেন আর কোনো উইকেট না হারিয়েই। একবার অবশ্য জাদেজার বলে বেঁচে গিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েলের গ্লাভসে লেগে ক্যাচ হলেও রিভিউ নেননি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। ড্রেসিংরুম থেকে সেটা দেখে নিশ্চয় আক্ষেপে দাঁত কামড়েছেন কোহলি। কাঁধে চোট পেয়ে যে দিনের অনেকটা সময় মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছে ভারত অধিনায়ককে।