• ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    পূজারার দিনে কামিন্সের ঝড়

    পূজারার দিনে কামিন্সের ঝড়    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-

    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ৪৫১

    ভারত ১ম ইনিংস ৩৬০/৬ ( পূজারা ১৩০*, কামিন্স ৪/ ৫৯)


     

    ব্যাট-বলের ‘ইদুর-বিড়াল’ লড়াইটা দিনভর চলেছে। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের হতাশ করে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন চেতশ্বর পূজারা। তাঁর সেঞ্চুরিতেই রাচি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে খানিকটা স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কোহলির দল। এখনো অবশ্য অজিদের চেয়ে ৯১ রানে পিছিয়ে আছে ভারত।


     

    দিনটাকে মোটামুটি নিজের করে নিয়েছেন পূজারা। আজ পুরো দিনই ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে ছিলেন। ৩২৮ বল খেলেছেন, তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১১ তম সেঞ্চুরি। এই মৌসুমে প্রথম শ্রেণীতে নিজে ৭ম সেঞ্চুরি পেলেন পূজারা। এক মৌসুমে তাঁর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু ভিভিএস লক্ষণের (৮টি)। লোকেশ রাহুল ফিরলেও মুরালি বিজয়কে নিয়ে ১০২ রানের জুটি করেন। এই মৌসুমে এটা তাঁদের ৬ষ্ঠ শতরানের জুটি। ২০০৫-০৬ মৌসুমে রিকি পন্টিং ও ম্যাথু হেইডেন ৭ বার এমন কীর্তি গড়েছিলেন।

     

     

    পূজারার দিনে নিজেকে আলাদা করে চেনালেন প্যাট কামিন্স।  মন্থর পিচেও তাঁর পেস, বাউন্স ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করেছে। মিচেল স্টার্কের ইনজুরিতে প্রায় ৫ বছর পর দলে ফেরা কামিন্স আজ স্টার্কের অভাবটা বুঝতে দেননি এক মুহূর্তের জন্যও। কাঁধের আঘাত নিয়েই ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন কোহলি। কিন্তু কামিন্সের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্মিথের হাতে ক্যাচ দেন। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাহানে, অশ্বিনরাও।  

     

    দিনের শেষ সেশনে কামিন্স-ও’কিফের ‘বোলিং-জুটি’ ভালোই ভুগিয়েছে ভারতকে। এক প্রান্তে ও'কিফের স্পিনে কোনো রান নিতে পারছিলেন না পূজারা। অন্য প্রান্তে কামিন্সের বল ব্যাটে লাগাতে পারছিলেন না ঋদ্ধিমান সাহা। শেষ পর্যন্ত সাহাকে নিয়ে আর কোনো বিপদ ছাড়াই দিনের বাকি সময়টা পার করে দেন পূজারা।