• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    রোনালদোর হ্যাটট্রিকে শেষ চারে রিয়াল

    রোনালদোর হ্যাটট্রিকে শেষ চারে রিয়াল    

    আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে ঠাসা ২১০ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস ফুটবল, রোনালদোর হ্যাটট্রিক, লেওয়ানডস্কির জাল খুঁজে পাওয়া, ভিদালের পেনাল্টি মিস- একটা ফুটবল ম্যাচের দুই লেগে এর চেয়ে বেশি কিছু হতে পারত না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলোচনায় হাঙ্গেরিয়ান রেফারি ভিক্টর কাসাই। শেষ আট থেকে বাদ পড়ার জন্য তাঁর একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে বায়ার্ন দুষতেই পারে! শেষ পর্যন্ত রোনালদোর হ্যাটট্রিকে বায়ার্নকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ ব্যবধানে জিতে টানা সাতবার ইউসিএল-এর সেমিতে জায়গা করে নিল 'লস ব্লাঙ্কোস'রা। 

    সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বায়ার্নের সাথে শেষ ১০ দেখায় ৮ বার জিতেছে রিয়াল। সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখে সেমিতে যাওয়ার আত্মপ্রত্যয় নিয়েই মাঠে নেমেছিল জিদানের দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সেমির আশার পালে হাওয়ার যোগান দেন লেওয়ানডস্কি। কিন্তু ৭৬ মিনিটে রোনালদোর গোলে ম্যাচে ফেরে রিয়াল। উদযাপনে ব্যস্ত রিয়াল গোল খেয়ে বসে মিনিটখানেকের মাঝেই। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজ জালেই ঠেলে দেন রামোস। ৮৩ মিনিটে আসে ম্যাচের প্রথম বিতর্কিত মূহূর্ত। অ্যাসেন্সিওকে চমৎকার ট্যাকেল করে বল কেড়ে নিলেও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ভিদালকে। তার আগে অবশ্য কাসেমিরো দ্বিতোয় হলুদ কারড়ড দেখে মাঠ ছাড়তে পারতেন। কিন্তু রেফারি সেবার লাল কার্ড দেখাননি।


    এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে ১০৫ মিনিটে ম্যাচে রোনালদোর দ্বিতীয় গোলে লিড নেয় রিয়াল। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, পরিষ্কার অফসাইড ছিলেন 'সিআর৭'। এর মিনিট পাঁচেক পরই ১১০ মিনিটে বায়ার্নের দুজন ডিফেন্ডারকে দুর্দান্তভাবে কাটিয়ে রোনালদোকে পাস বাড়ান মার্সেলো। আলতো টোকায় নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রিয়ালের 'নাম্বার সেভেন'। এই গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একশ গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় এখন রোনালদো। এর মিনিট দুয়েক পরই ১১২ মিনিটে অ্যাসেন্সিওর বিস্ময়কর একক প্রচেষ্টা থেকে বায়ার্নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয় রিয়াল। সেই সাথে নিশ্চিত হয় রিয়ালের টানা সপ্তম সেমিফাইনাল। 


    তার আগে দিনের অন্য সেমিফাইনালে অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে শেষ আট থেকে বিদায় নিয়েছে লেস্টার। আগের লেগে নিজেদের মাঠে অ্যাটলেটিকো জিতেছিল ১-০ গোলে।