• এএফসি কাপ
  • " />

     

    ১০ জনের আবাহনীর এমন গোল!

    ১০ জনের আবাহনীর এমন গোল!    

    প্রায় হাফলাইন থেকে চিপ করে বল জালে জড়িয়ে দিচ্ছেন একজন, আর অসহায় হয়ে সেটি দেখছেন গোলরক্ষক- এমন দৃশ্যেরন কথা ভাবলেই ডেভিড বেকহাম, জাবি আলোনসো বা ওয়েইন রুনিদের কথা মনে পড়ে। তবে বাংলাদেশের হয়ে সেটিই করে দেখালেন রুবেল মিয়া। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে রুবেলের এই গোলে নিশ্চিত হয়েছে আবাহনীর 'প্রতিশোধ' নেওয়া। নিজেদের মাঠে এফসি বেঙ্গালুরুকে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম জয়টাও পেয়েছে আবাহনী। 


    বাংলাদেশের ফুটবলের অনেক দিন ধরেই নেই স্বস্তির বাতাস। ক্লাবেও নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল সবাই। এএফসি কাপেও আগের তিনটি ম্যাচেই হেরে বসেছিল আবাহনী। অবশেষে নিজেদের মাঠে প্রথম জয় পেয়েছে। তাও আবার ১০ জন হয়ে যাওয়ার পর। ৭৫ মিনিটে নাসির মিয়া লাল কার্ড দেখার পর যে ড্র করাটাই আবাহনীর কাছে বড় প্রাপ্তি হতো। কিন্তু শেষ সময়ের দুই গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে আবাহনী। 

     


    উদযাপনের প্রথম মুহূর্ত আসে ৮৭ মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে রুবেলের বাড়ানো বল দারুণ এক দৌড়ে খুঁজে নেন ওয়েলশের স্ট্রাইকার জোনাথন। ডান দিক থেকে করা ক্রসটা দূর থেকে এসে দুর্দান্ত এক ভলিতে জালে পাঠিয়ে দেন সাদ। উল্লাসে ফেটে পড়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। কয়েক মিনিটের মধ্যে আবারও উদযাপনের সুযোগ পেয়ে যায় আবাহনী। গোল শোধ করতে গিয়ে বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষকসহ সবাই প্রায় আবাহনীর অর্ধে এসে পড়েছিলেন। গোলরক্ষক একটা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সেটি এসে পড়ে রুবেল মিয়ার কাছে। হাফলাইনের একটু ওপর থেকে তাঁর দুর্দান্ত চিপ খুঁজে নেয় জাল।


    অথচ ৭৫ মিনিটে নাসির হাত দিয়ে বল ঠেকানোয় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ১০ জন হয়ে পড়ায় আবাহনীর ড্র নিয়েই ছিল সংশয়। তার আগে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বেঙ্গালুরু ও আবাহনী দুই দলই।