• লা লিগা
  • " />

     

    'জাদুকর' জিজুর 'ফর্মুলা ওয়ান'

    'জাদুকর' জিজুর 'ফর্মুলা ওয়ান'    

    বায়ার্ন মিউনিখের অনুশীলন মাঠ সাবেনার স্ত্রাস। নতুন শিষ্যদের বেশ কিছু জিনিস পরখ করে দেখছেন পেপ গার্দিওলা। আর একটু দূরে, এককোণায় বসে শ্যেনদৃষ্টিতে সবকিছু দেখছিলেন টেকো মাথার এক ভদ্রলোক। হঠাৎ চোখাচোখি হতেই অনুশীলনের মাঝেই একগাল হেসে এগিয়ে এলেন বায়ার্ন ডিফেন্ডার দান্তে। পাশেই বসা ক্লদে ম্যাকলেলে, উইলি সানিওলের মতো দুই সাবেক ফুটবলার- কিন্তু দান্তে যেন তাঁদের খেয়ালই করলেন না। টেকো লোকটার সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। একটু পর পেপ গার্দিওলা নিজেই লোকটার সাথে এসে হাত মিলিয়ে গেলেন। জাবি আলোনসো, ফ্রাঙ্ক রিবেরিরাও ততক্ষণে চলে এসেছেন সেখানে।

    জিনেদিন জিদান তো আপনার অনুশীলন দেখতে প্রতিদিন আসবেন না!
     

    **

    সেটা ২০১৫ সালের মার্চ মাসের কথা। তবে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। জিদান তখন কেবল কোচিংয়ের হাতেখড়ি নিচ্ছেন, উয়েফা এ লাইসেন্সও তখনও উৎরাতে পারেননি। সেটা অবশ্য পেয়ে গেছেন মে মাসের মধ্যেই। তবে খেলোয়াড় জিদান যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন, কোচ জিদান বছর দুয়েকের মধ্যে তার কাছাকাছি চলে যাবেন- তখন কথাটা  হয়তো নিজেই হেসে উড়িয়ে দিতেন। রিয়াল মাদ্রিদের বি দল কাস্তিয়ার কোচ, খুব শিগগিরই মূল দলের ডাগআউটে যাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল ক্ষীণ। কে জানত, আট মাসের মধ্যেই রিয়াল কোচের কাঁটাভরা সিংহাসনে হুট করেই বসতে হবে জিদানকে? খেলোয়াড়ি জীবনে প্রায় অন্তর্মুখো, মাথা গরম করা (শুধু ক্যারিয়ারে লাল কার্ডই দেখেছিলেন ১৫টি) লোকটা রিয়ালের তপ্ত ড্রেসিংরুমে স্বস্তি এনে দিতে, সেটাই বা কজন ভেবেছিলেন?

     

    **

    অবিশ্বাসীর সংখ্যা কম ছিল না। তার মধ্যে বড় বড় ফুটবলবোদ্ধারাও ছিলেন। রিয়ালেরই সাবেক কোচ, সর্বকালের সেরাদের একজন ওটমার হিজফেল্ড পর্যন্ত সবিস্ময়ে বলে ফেলেছিলেন, 'এই ছেলেকে কোচ করাটা তো জুয়া খেলা। ওর না আছে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা , না আছে লোক সামলানোর দক্ষতা। এখন পর্যন্ত কোনো দলকে তো কোচিংই করায়নি। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে সে বিখ্যাত, এই যা! ও তো আসলে লটারি জিতে গেছে। '

    হিজফেল্ড জানতেন না, জিদান নয়, লটারি তো জিতেছে আসলে রিয়াল মাদ্রিদ। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ যদি জানতেন, অনেক অপেক্ষার লা লিগা জিদানের হাত ধরেই আসবে, রাফায়েল বেনিতেজের কথা নিশ্চয় ঘুণাক্ষরেও ভাবতেন না।

     

    **

    জিদান অবশ্য দায়িত্ব নেওয়ার আগে পেরিয়ে আসতে হয়েছে অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা। ২০১৪ সালে দায়িত্ব পেয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়ার, কিন্তু সরাসরি কোচ না হয়ে তাঁর পদটা হলো টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। তখন উয়েফা এ লাইসেন্স হয়নি, আর সেটা না হলে স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগের কোনো ক্লাবের কোচিং করানো যায় না, সেটাই ছিল কারণ। তা জিদানের দলের শুরুটা খুব ভালো হলো না, প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল কাস্তিয়া। প্রথম পাঁচ ম্যাচের জিতলেন কেবল একটি। জিদান বুঝলেন, কিছু একটা করতে হবে। পরের ম্যাচে দলে কিছুটা ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন আনলেন, বল ধরে খেলার চেয়ে সরাসরি আক্রমণে মনযোগ দিলেন। বদলে ফেললেন অধিনায়কও। এর পর আবার পথ ফিরে পেল কাস্তিয়া, জয়ের মুখও দেখতে শুরু করল।

    কিন্তু হ্যাপা এলো একেবারে অন্য দিক থেকে। স্প্যানিশ কোচিং ফেডারেশন অভিযোগ করল, জিদান কোনো কোচিং লাইসেন্স ছাড়াই দল চালাচ্ছেন। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে অভিযোগও ঠুকে দিল। ব্যস, তিন মাস নিষিদ্ধ জিদান। জিজু সরাসরিই বলে বসলেন, কোচিং ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মিগুয়েল গালান ঈর্ষা থেকেই এই অভিযোগ তুলেছেন। জিদান মনে করিয়ে দিলেন, লাইসেন্সটা ফ্রান্স থেকে নেওয়ার জন্যই এত দেরি হচ্ছে তাঁর। স্পেন থেকে নিতে হলে এক মাসের মধ্যেই হয়ে যেত। পাশে পেলেন অনেককে। যেখানে রিয়ালের হয়ে চাইলে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোচিং করাতে পারেন, সেখানে দ্বিতীয় বিভাগের কোচ হতে না পারা হাস্যকর- এমনও বললেন কেউ কেউ। এমনকি কোনো প্রথাগত কোচিং সনদের ধার না ধারা ইয়োহান ক্রুইফও বললেন, জিজুকে তাঁর কাজ করতে দেওয়া উচিত। ফ্রান্সের প্রচারমাধ্যম বিশাল শিরোনামে সংবাদ ছাপাল, জিজুকে ডাগআউটে দেখতে চাই।

     

                                                                      

    **

    খুব দ্রুতই অবশ্য উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা। তবে ততদিনে জিদান বুঝে গেছেন, খেলার বাইরের জগতটা বেশ ঘোরালো, এখানে পেছন থেকে পিঠে ছুরি মারার লোকেরও অভাব নেই। নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেই সবার মুখ বন্ধ করে দেওয়া যাবে। কিন্তু তাঁর খেলোয়াড়ি সত্ত্বাটাই যেন এখানে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে গ্রাস করে ফেলতে লাগল। ভালো খেলোয়াড়েরা ভালো কোচ হতে পারে না, এমন একটা কথা তো মোটামুটি চালু হয়ে গেছে। জিদান তো শুধু ভালো নন, ভালোদের মধ্যে সেরাদের একজন। তার ওপর আবার কথাও বলেন কম, কোচের কাজটার পথে যেটা হতে পারে বড় একটা কাঁটা। কিন্তু জিজু বুঝে গেছেন, কাজ ঠিকমতো করতে পারলে এসবকিছুই চাপা পড়ে যাবে।

    নিশ্চয় খচখচানি হতে পারে, এমন চাপা স্বভাব নিয়ে ডাগআউটে কীভাবে কাজ করেন জিজু? রহস্যটা কী? গোমরটা একটু ফাঁস করেছেন তাঁর যুব দলের কোচ গাই লাকোম্বে, 'জিদান খেলোয়াড় থাকার সময় থেকেই চেষ্টা করত বাকিরা যেন আরও ভালো করার চেষ্টা করে। সবাইকে নিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টাটা ওর মধ্যে ছিল। অনেক সময় বড় খেলোয়াড়েরা কোচ হলে বুঝতে পারেন না, ছাত্ররা কেন তার মতো করে শিখতে পারছে না। তবে জিদান এদিক দিয়ে ব্যতিক্রম। তাঁর ধৈর্যের অভাব নেই।'

    নিজের কোচিং নিয়ে জিদান প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন কমই। যে অল্প কথা বলেছেন, তাতে তার একেবারে নতুন একটা দিক খুঁজে পাওয়া যায়, 'দেখুন, ভালো কোচ হওয়ার জন্য সবসময় যে চেঁচিয়ে যেতে হবে, আমি কিন্তু তা মনে করি না। অবশ্যই কথা বলতে হবে, তবে সেটা বেশি না হলেও হয়। যেটা দরকার, দলের ওপর আপনার কর্তৃত্ব আছে কি না। আমার মনে হয়, কথা কম বলেও শক্ত হওয়া যায়, কঠোর হওয়া যায়।' এজন্যই খেলোয়াড়েরা কোনো ভুল করলেও ড্রেসিংরুমে গিয়ে খুব চোটপাট করেন না জিজু, উচ্চস্বরে কথাও বলেন না খুব একটা। রেগে গেলেও সেটা চেপে যান। তবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে তাতে বরফ জমাট বাঁধেনি। রিয়ালের লা লিগা জয়ের পর সবাই মিলে শুন্যে তুলে ফেলা তো 'অভিভাবক জিদানের' জন্যই! সংবাদ সম্মেলনে এসে হাসতে হাসতে তাঁর সঙ্গে নাচতেও তাই দ্বিধা করেন না মার্সেলোরা। 

     

    **

    তবে একজন কোচ হওয়ার জন্য তো শুধু খেলোয়াড়দের আস্থা পেলেই হয় না, আরও কিছু থাকতে হয়। জিদানের মধ্যে যে এই বাড়তি কিছু একটা আছে, সেটা প্রথম দেখা গিয়েছিল ওডেগার্ড-বিতর্কে। নরওয়ের বিস্ময়বালক ওডেগার্ড দুই বছর আগে অনেকটা ধূমকেতুর মতোই উঠে এসেছিলেন। বয়স কম হওয়ায় রিয়ালের কাস্তিয়া দলেও খেলতে হতো তাঁকে, যদিও অনুশীলন করতেন মূল দলের সঙ্গে। কিন্তু ১৬ বছর বয়সেই যাঁর বেতন সপ্তায় প্রায় ৮০ হাজার পাউন্ড, কাস্তিয়ার অন্যদের সাথে তাঁর স্বাভাবিকভাবেই একটা দূরত্ব হয়ে যাওয়ার কথা। দলের একতার জন্যও সেটা খুব ভালো ব্যাপার নয়। জিদান ব্যাপারটা সামলেছিলেন দারুণভাবে, দরকার হলে ওডেগার্ডকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখতেও দুবার ভাবেননি। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজও সেসময় ভুরু কুঁচকে ফেলেছিলেন, কিন্তু জিদানের ওপর ভরসা রেখেছিলেন। যে ভরসাতে জিজু এবার রোনালদোকে বিশ্রাম দেওয়ার 'দুঃসাহস' দেখিয়েছেন লা লিগার অনেক ম্যাচে। যে কারণে রিয়ালের প্রথম দলের প্রায় সবাই প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন (ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অন্তত ২০ জন ১ হাজার মিনিট করে খেলার সুযোগ পেয়েছেন) যে কারণে হামেস, মোরাতাদের এমন ফর্মেও একাদশের স্বার্থে অনেক ম্যাচেই বসিয়ে রেখেছেন। রিয়ালে অনেক কিছুই করেছেন, যা কেউ ভাবেননি আগে।

     

    **

    প্রথম মৌসুমে যখন বার্ন্ড সুস্টারের পর প্রথম কোচ হিসেবে প্রথম ক্লাসিকো জিতেছিলেন, অনেকে বলেছিলেন 'ফ্লুক'। প্রায় যোজন পিছিয়ে থাকা মাদ্রিদ যখন বার্সার ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলে লিগ শেষ করল, জিদানের খুব কৃতিত্ব কেউ দেখেনি। দারুণ কিছু খেলোয়াড় পেয়েছেন, তাদের সামলাচ্ছেন ঠিকঠাক, এই তো জিদানের কাজ। কিন্তু কৌশলটা যে আরও অনেকের চেয়ে একটু বেশিই বোঝেন, সেটা দেখিয়েছেন এই মৌসুমে এসে। অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে ওই ম্যাচের কথাই ধরুন। পেপে, রামোস, ক্রুস, কাসেমিরো, বেনজেমাদের কেউই নেই। বলতে গেলে একেবারে ভাঙাচোরা একটা দলকে জিদান ৪-৩-৩ ফর্মেশন থেকে সরিয়ে খেলালেন ৪-৪-১-১ ফর্মেশনে। ফল? অ্যাটলেটিকো উড়ে গেল ৩-০ গোলে। কোভাচিচ, ভাজকেজরা সুযোগ পেয়ে নিজেদের প্রমাণ করলেন। বা, এই মৌসুমে যখন ইসকো দারুণ খেলতে শুরু করলেন, ৪-৩-৩ বদলে ডায়মন্ড ৪-৪-২ তে খেলিয়েছেন। ফল কী, সেটা তো সবাই দেখেছে। রিয়াল এই মৌসুমে লিগে প্রতিটি ম্যাচে গোল করেছে, সব প্রতিযোগিতা মিলে যেটি প্রায় অবিশ্বাস্য, ৬৪ ম্যাচ; তার কিছুটা কৃতিত্ব বোধ হয় জিদানেরও প্রাপ্য।

     

    **

    তারপরও শুধু কৌশল দিয়ে সবকিছু হয় না। লাগে নিজেদের ওপর অগাধ আস্থা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাঁতে দাঁত কামড়ে লড়ে যাওয়ার মনোভাব। যে মন্ত্রটা জিদানের চেয়ে আর বোধ হয় এখন ভালোভাবে জপে দিতে পারেননি। এই মৌসুমে তাই সাতটি ম্যাচে রিয়াল শেষ ১০ মিনিটের গোলে জয় পেয়েছে। ন্যু ক্যাম্পে শেষ সময়ের গোলে ড্র নিয়ে ফিরেছে, সার্জিও রামোস তো হয়ে গেছেন অন্তিম মুহূর্তের নায়ক। চাইলে কেউ এটাকে ভাগ্য বলতে পারেন, তবে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার রিয়াল তো এই জিদানের হাত ধরেই।  এই মৌসুমে যেমন নাচো আর কাসেমিরোকে নতুন করে 'আবিষ্কার' করেছেন। ৪-৩-৩ ফর্মেশনের জন্য ক্রুস, মদ্রিচের সঙ্গে হামেসকে খেলানোটা যখন রক্ষণের জন্য লখিন্দরের বাসরঘর হয়ে পড়ছিল, কাসেমিরোকে তুলে এনেছেন মধ্যমাঠে। নাচোকে অনেকেই বাতিল করে দিয়েছিলেন, তারাও এখন জবাব পেয়ে গেছেন। মার্কো আসেন্সিওর মতো তরুণদের নামিয়েছেন, যাঁদের জন্য রিয়াল দেখেছে সাম্রাজ্য ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন। জিদান যদি এখনই বিদায় নেন, রিয়ালে তাঁর ছাপটা বোধ হয় আরও অনেক দিন থেকে যাবে। আর কিছু না হোক, অন্তত শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া তো বটেই।

     

    **

    তবুও যেন সেই জিদানের সঙ্গে মাঝেমধ্যে মেলানোটা মুশকিল হয়ে পড়ে। ফুটবল যাঁর পায়ে কথা বলতো কবিতার মতো, মেজাজ হারিয়ে ফেলা যাঁর কাছে নতুন কিছু নয়, তিনি ডাগআউটে এমন সৌম্য, স্থিতধী কীভাবে? জিদানের কোচ লাকোম্বের কাছে ব্যাপারটার কিছুটা ব্যাখ্যা আছে, 'জিদান খেলা শুরু করেছিল মার্শেইয়ের রাস্তায়, সেখানে পাড়ায় পাড়ায় ছিল ভীষণ শত্রুতা। আপনি হচ্ছেন আপনার পাড়ার গৌরব, ফুটবলে হেরে যাওয়া মানে সব সম্মান ধুলোয় মিশে যাওয়া। আপনি যদি বোঝাতে না পারেন আপনি সেরা নন, আপনিও ধূলোতেই মিশে যাবেন।'

    জিদান পেরেছিলেন। বয়স যখন কম, সেই তেজ মাঝেমধ্যেই বিস্ফোরিত হতো মাঠে। এখন সেই রাগ আর নেই, কিন্তু থেকে গেছে প্রতিজ্ঞা, আর কঠিন সংকল্প। জিদান নিজেই বলছেন, 'এখন আমি রাগ চেপে রাখতে শিখে গেছি, তবে মাঝেমধ্যে আমার ডাগআউটেও ভীষণ অসহায় লাগে।' এমন অসহায় মুহূর্তে কী করতে হয়, সেটাও শিখছেন আস্তে আস্তে। অনেক সময় তো পড়েই আছে!

     

    **

    তবে জিদান জানেন, এখনো রাস্তা অনেক দূর। এই দলটা এখন কেবল সৌরভ ছড়াতে শুরু করেছে, ফুল হয়ে ফোটার জন্য দরকার আরও সময়। এই দল তো একদিনের রাজত্ব নয়, একশ' বছরের সাম্রাজ্য চায়। জিদান সেই ফুলে আলো-হাওয়া-পানি দিয়ে অপেক্ষায় আছেন সেই দিনের, যখন সেই সৌরভ থেকে যাবে কালের খেয়ায়। আর তার মধ্যে অনুচ্চারে ভেসে বেড়াবে এক পেছনে থাকা জাদুকরের হাসি।

    জিদান নিশ্চয় সেদিনের অপেক্ষায় আছেন...