নাসিরে চড়ে শিরোপাতে এক হাত গাজীর
স্কোর
আবাহনী ৪১.২ ওভারে ১৫৬ (আফিফ ৩২, লিটন ৩০, মিঠুন ২; মেহেদী ৩/৩০, নাসির ৩/৩৬)
গাজী গ্রুপ ৩৬.৪ ওভারে ১৫৭/৪ (নাসির ৫৬*, এনামুল ৪১;মনন ২/৪০ )
ফলঃ গাজী ৬ উইকেটে জয়ী
দেশ থেকে ফিরেই ৬১ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়েছিলেন, নিয়েছিলেন দুই উইকেট। আজ আবারও ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল নাসির হোসেন। ৩ উইকেটের পর তাঁর অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংসই পথ দেখিয়েছে গাজীকে। আবাহনীকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের এবারের শিরোপায় এক হাতও দিয়ে রেখেছে। কাল দোলেশ্বর মোহামেডানকে হারালে আর গাজী পরের ম্যাচটা দোলেশ্বরের কাছে হারলেই কেবল শিরোপা তাদের হাতছাড়া হবে। তার মানে শিরোপা সম্ভাবনা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে গেল আবাহনীর।
বিকেএসপিতে আজ শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে আবাহনী। কোনো রান না করেই ফিরে গেছেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলাম। ১১ রান করে ফিরে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও, পরিণত হয়েছেন নাজমুল হাসান শান্তর দ্বিতীয় শিকারে। মোহাম্মদ মিঠুন ও লিটন দাশেই এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল আবাহনী। ওপেনিং থেকে লিটন আজ নেমে গেছে পাঁচে, কিন্তু বড় রান করতে পারেননি। ৩০ রান করে আউট হয়ে গেছেন আবরার কাজীর বলে। তার আগেই মেহেদী হাসানের বলে ২৮ রান করে ফিরে গেছেন মিঠুন। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আবাহনী। আফিফ ও ও শুভাগত একটু চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শুরু করেও কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
এরপরেই দৃশ্যপটে এলেন নাসির। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের তুলে নিয়েছেন পর পর। মনন শর্মার পর সাকলাইন সজীব ও আবু জায়েদকে আউট করে মুড়ে দিয়েছেন আবাহনীর লেজ।
১৫৭ রান তাড়া করে শুরুতেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে হারিয়ে ফেলে গাজী। তবে দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল হক ও মুমিনুল হকের ৩৬ রানের জুটি বড় ধস নামতে দেয়নি। দুজন অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেননি, ৪১ রানে এনামুলের পর মুমিনুলও ফিরে গেছেন ২১ রানে। একটা সময় ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে একটু পথ হারিয়ে ফেলেছিল গাজী। কিন্তু সেখান থেকে ৯২ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংসে পথ দেখিয়েছেন নাসির। এবারের প্রিমিয়ার লিগে ৭ ম্যাচ খেলেই এখন পর্যন্ত ৪৭৭ করেছেন নাসির। তবে অবিশ্বাস্য তাঁর গড় , ৪৭৭! এই সাত ম্যাচে যে আউট হয়েছেন মাত্র একবার!