ইতিহাস গড়েই জিম্বাবুয়ের দুর্দান্ত জয়
শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে ৩১৬/ ৫ (মেন্ডিস ৮৬, থারাঙ্গা ৭৯*, গুনাতিলকা ৬০; চাতারা ২/৪৯)
জিম্বাবুয়ে ৪৭.৪ ওভারে ৩২২/ ৪ (মিরে ১১২, রাজা ৬৭*, উইলিয়ামস ৬৫,গুনারন্তে ২/৪৫)
ফলঃ জিম্বাবুয়ে ৬ উইকেটে জয়ী
নিজেদের ইতিহাসে ৩০০ রানের বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে মাত্র দুই বার। সেই দুবারই প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। দুটিই ছিল দেশে। এবার শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ৩১৬ রানের পাহাড় টপকে স্মরণীয় এক জয় পেল জিম্বাবুয়ে। সেটিও আবার ৬ উইকেট এবং ১৪ বল হাতে রেখে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই প্রথম জয় পেল জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কার মাটিতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও এটি। ২০০০ সালের পর আবার ওয়ানডে ফিরল গলে, তবে স্বাগতিকদের জন্য সেটি একদমই মনে রাখার মতো হলো না।
সলোমন মিরে অবশ্য দিনটা অনেকদিনই মনে রাখবেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে এর আগে ১৭টি ওয়ানডে খেললেও সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৫৪। এভারেস্ট জয় করতে নেমে সেই মিরেই খেললেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি। শুরুটা অবশ্য খুব ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের, ৪৬ রানের মধ্যেই মাসাকাদজা ও আরভিনকে হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর মিরে ও শন উইলিয়ামসের জুটিতেই ম্যাচের কতৃত্ব নিজেদের হাতে নেয় জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১৬১ রান। দুজনের জুটিটা যখন ভেঙেছে, মিরে তার আগেই পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। সেটিও করেছেন মাত্র ৮৫ বলে, জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়ানডেতে যা চতুর্থ দ্রুততম। জিম্বাবুয়ের রান তখন ৩২.৩ ওভারে ২০৭, ম্যাচের লাগাম তাদের হাতেই। কিন্তু এক ওভার পরেই শন উইলিয়ামসকে ৬৫ রানে ফিরিয়ে দেয় ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে তার আগে কয়েকটি ক্যাচ ছেড়েছে শ্রীলঙ্কা।
ওই পর্যন্তই। স্বাগতিকদের এরপর আর কোনো সুযোগ দেননি ম্যালকম ওয়ালার ও সিকান্দার রাজা। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেছেন আরও ১০২ রান। রাজা মাত্র ৫৬ বলে করেছেন ৬৭ রান, ২৯ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওয়ালার। দলকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
তার আগে ইনিংসের শুরু থেকেই ৩০০ রানটা দৃষ্টিসীমায় দেখছিল শ্রীলঙ্কা। ১৬ রানে নিরোশান ডিকওয়েলা ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়েছেন গুনাতিলকা ও কুশল মেন্ডিস। গুনাতিলকে ৬০ রানে আউট হয়ে গেলেও মেন্ডিস সেঞ্চুরিটা পাবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৮০ বলে ৮৬ রান করে আউট হয়ে যান ক্রেমারের বলে। শ্রীলঙ্কার রান তখন ৩১.৩ ওভারে ১৮১। থারাঙ্গা, ম্যাথুস, গুনারত্নেদের শেষ দিকে সেভাবে ঝড় তুলতে দেননি জিম্বাবুয়ে বোলাররা। শেষ ১০ ওভারে তাই ৭৮ রানের বেশি হয়নি। থারাঙ্গা অপরাজিত ছিলেন ৭৩ বলে ৭৯ রান করে।