হাসারাঙ্গার হ্যাটট্রিকে ফিরল শ্রীলঙ্কা
জিম্বাবুয়ে ৩৩.৪ ওভারে ১৫৫ (মাসাকাদজা ৪১, ওয়ালার ৩৮; সান্দাকান ৪/৫২, হাসারাঙ্গা ৩/১৫)
শ্রীলঙ্কা ৩০.১ ওভারে ১৫৮/৩ (থারাঙ্গা ৭৫*, ডিকভেলা ৩৫; চাতারা ২/৩৩)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে জয়ী
৩৩তম ভারে যখন বল করতে এসেছেন, জিম্বাবুয়ের ইনিংসের এপিটাফ তখন লেখা হয়ে গেছে অনেকটাই। ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সফরকারীরা, স্কোরকার্ডে উঠেছে মাত্র ১৫১ রান। আগের দুই ওভারে ১১ রান দিয়েছিলেন, হাসারাঙ্গার তৃতীয় ওভারেও প্রথম বলটা চার মারলেন ওয়ালার। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই ওয়ালারের ব্যাটের কানায় লেগে বল ভেঙে দিল স্টাম্প। পরের বলে গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড টিরিপানো। অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের প্যানিদু হাসারাঙ্গার সামনে। পরের বলটাও গুগলি করলেন, লাইন মিস করে বোল্ড চাতারা। মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রিক হলো হাসারাঙ্গার।
ওয়ানডে ইতিহাসে এ পর্যন্ত ৪২টি হ্যাটট্রিক হয়েছে। তবে প্রথম ওয়ানডেতেই সেই কীর্তির অভিজ্ঞতা আছে শুধু তিন জনের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই কীর্তি ছিল তাইজুল ইসলামের, পরের বছরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সেটি করলেন কাগিসো রাবাদা। তবে এই দুজনের চেয়ে একটা দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন হাসারাঙ্গা, তাঁর যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই অভিষেক আজ!
আরও অনেককে পেছনে ফেলে দিয়েছেন আরেকটা দিক দিয়েও। ১৯ বছর ৩৩৮ দিনেই হ্যাটট্রিকের কীর্তি হয়ে গেল হাসারাঙ্গার, ওয়ানডে ইতিহাসে এর চেয়ে কম বয়সে এই অর্জন আছে শুধু দুজনের- আকিব জাভেদ (১৯ বছর ৮১ দিন) ও সাকলাইন মুশতাক (১৯ বছর ৩১০ দিন)। শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম স্পিনার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন। তবে একদিকে হাসারাঙ্গা অদ্বিতীয়, লেগ স্পিনার হিসেবে এই কীর্তি আর কারও নেই।
অথচ হাসারাঙ্গা আদতে পুরোপুরি স্পেশালিস্ট লেগ স্পিনারই নন। ব্যাটিংটাও ভালোই পারেন, মূলত অলরাউন্ডারই বলা যায় তাঁকে। গলে আজও তাঁকে ২৬তম ওভারে এগিয়েই প্রথম বোলিংয়ে এনেছিলেন ম্যাথিউস। আগের দিনের নায়ক সলোমন মিরে আজ ফিরে গেছেন শুন্য রানেই। দ্বিতীয় উইকেটে মাসাকাদজা ও এরভিনের ৫৬ রানের জুটিটা একটু আশা দেখাচ্ছিল। কিন্তু ৬৭ রানে সেটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়েছে জিম্বাবুয়ে ব্যাটিং। লক্ষণ সান্দাকানই ছিলেন মূল হন্তারক, ৫২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। মাসাকাদজা ও ওয়ালারই যা একটু প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষদিকে হাসারাঙ্গার হ্যাটট্রিকে লক্ষ্যটা মাত্র ১৫৫ রান হয়েছে।
সেটি তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার খুব একটা কষ্ট হয়নি। তিন উইকেট হারিয়েই পৌছে গেছে লক্ষ্যে। সেই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সমতাও নিয়ে এসেছে। আগামী ৬ জুলাই সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে হবে হাম্বানটোটায়।