• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    দরকষাকষি পর্দার আড়ালেই চাইছেন ক্লার্ক

    দরকষাকষি পর্দার আড়ালেই চাইছেন ক্লার্ক    

    ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া(সিএ) ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্রিকেটারস ইন অস্ট্রেলিয়া(এসিএ); বিপত্তিটা মূলত দুই সংস্থাকে ঘিরেই। একপক্ষ নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, আরেক পক্ষ মানছে না সেটা। দুইপক্ষের শেষ সমঝোতা স্মারক যখন স্বাক্ষরিত হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। ২০১২ সালে হওয়া সেই স্মারক এক বছর বাড়ানো হয়েছিল। ক্লার্ক বলছেন, দরকার পড়লে আরও ১২ মাস সেই মেয়াদ বাড়ানো হোক। দরকষাকষি যা হওয়ার, সেটা হোক আড়ালে। সামনে থাকুক ক্রিকেট।

     
    'আমার মনে হয়, ১২ মাসের জন্য বর্তমান সমঝোতা স্মারকটা বাড়ানো হলে ক্রিকেটাররা তাদের যে কাজ, অনুশীলন, প্রস্তুতি, সেসবের সময় পাবে। মেয়েরা বিশ্বকাপের মতো বড় একটা টুর্নামেন্টে খেলছে। ছেলেদের বাংলাদেশ, ভারত সফরের পর অ্যাশেজ আছে। ক্রিকেটারদের সেদিকেই মনোযোগ দিতে দিন। আপনারা দয়া করে পর্দার আড়ালে গিয়ে একান্তে এসব দরকষাকষি করুন।'

     
    'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররাই এই খেলার মুখচ্ছবি, তাদের দেখভাল তো করতে হবে', ক্লার্ক মনে করিয়ে দিচ্ছেন, 'তরুণরা তাদের আইডলদের দেখেই বেড়ে ওঠে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে চায়। একই সাথে, খেলাটা যাতে বেড়ে ওঠে, সেদিকেও দেখতে হবে। এদেশের প্রত্যেকটি ছেলেমেয়েরই আমার কাছে মনে হয় যেটা বিশ্বের সেরা খেলা, তাতে অংশ নেয়ার সুযোগ আছে।'

     

    'যদি এসবকেই প্রাধান্য দেয়া হয়, আমার মনে হয় সমস্যা এমনিতেই মিটে যাবে। কারণ তখন সমঝোতার ব্যাপারটা আসবে। কিন্তু এসবের বাইরে অন্য কিছু সামনে এলেই আমি নার্ভাস হয়ে পড়ি। উভয় পক্ষকেই মনে রাখতে হবে, আপনাদের একসাথে কাজ করতে হবে।'

     

    বর্তমান সমঝোতা স্মারকের ক্ষেত্রে অবশ্য দুইটা বাধা আছে। এটা ১২ মাসের জন্য বাড়ালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে একরকম ক্রিকেটারদের শক্তির কাছে পিছিয়েই পড়তে হবে। আর ২০১২ সালের এই স্মারকে মেয়ে ক্রিকেটাররা ছিলেন না, কিন্তু সিএর পরবর্তী স্মারকে লভ্যাংশ ভাগাভাগির মডেলে তারাও হবেন গুরুত্বপূর্ণ। 


    তবে সব ছাপিয়ে বোধহয় ক্লার্কের আকুতিটাই বড়। ক্রিকেটারদের তো তাদের ক্রিকেটের দিকেই সবচেয়ে বড় মনোযোগটা থাকা দরকার!