অ্যান্ডারসনের দিনে সিরিজ ইংল্যান্ডের
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২৩ ও ১৭৭
ইংল্যান্ড ১৯৪ ও ১০৭/১
ফলঃ ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী
সিরিজঃ ২-১ ব্যবধানে জয়ী ইংল্যান্ড
শাই হোপ ভরসা হয়ে ছিলেন ক্রিজে। আর অসম্ভবের স্বপ্নটা তাড়া করার জন্য ছিলেন রস্টন চেজ। কিন্তু হোপও আশা হতে পারতেন না, চেজও পারলেন না স্বপ্নটা তাড়া করতে। লর্ডসে তৃতীয় দিনে তাই জয়ের জন্য যথেষ্ট রান হলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১০৭ রানের লক্ষ্যটা ইংল্যান্ড তাড়া করে ফেলল এক উইকেট হারিয়েই। জেমস অ্যান্ডারসনের টেস্টে জিতেই তিন ম্যাচের সিরিজ জিতল ২-১ ব্যবধানে।
এই টেস্ট যে অ্যান্ডারসনের হতে যাচ্ছে, সেই চিত্রনাট্য লেখা হয়ে গিয়েছিল কালই। ইংল্যান্ডের প্রথম ও ইতিহাসের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট হয়েছে কাল বিকেলেই, ইংল্যান্ডের দিগন্তে জয়ের রেখা দেখা যাচ্ছিল তখনোই। কিন্তু অ্যান্ডারসনের কিছু কাজ বাকি ছিল। অসমাপ্ত সেই কাজটা শুরু করলেন আজ, নিজের ট্রেডমার্ক ইনসুবঙ্গারে সকালে নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন রস্টন চেজকে। আট ওভার পরেই আবার আঘাত অ্যান্ডারসনের, এবারও উইকেটে পেছনে বেইরস্টোর হাতে ক্যাচ দিলেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড।
ডাওরিচের সঙ্গে জুটিতে একটু মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন হোপ। কিন্তু ডাওরিচের আউটে দুজনের ২৩ রানের জুটি ভেঙে গেল, ১২৩ রানে ৬ উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোপ আশা হয়ে টিকে ছিলেন তখনও, স্বপ্নের সিরিজে আরেকটি ফিফটিও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৬৪ রান করে অ্যান্ডারসন-বেইরস্টো যুগলবন্দির আরেকটি শিকার হলেন। ১৫৫ রানে ৭ উইকেট হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর আরও দুই উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন, সবশুদ্ধ ৪২ রানে ৭ উইকেট নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের কীর্তিও হয়ে গেছে।
১০৭ রানের পুঁজি নিয়ে জয় পেতে হলে অতিমানবীয় কিছু করতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কিন্তু ৩৫ রানে অ্যালিস্টার কুককে হারানোর পর আর হোঁচট খায়নি ইংল্যান্ড। ওয়েস্টলি-স্টোনম্যানের অবিচ্ছিন্ন ৭২ রানের জুটিই এনে দিয়েছে জয়।
ম্যাচসেরার পুরস্কার অবশ্য অ্যান্ডারসন নন, প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট ও ফিফটির জন্য পেয়েছেন বেন স্টোকস। তবে সিরিজ সেরার পুরস্কারটা অ্যান্ডারসনের কাছেই গেছে। আর দুই সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ৩৭৫ রানের জন্য সেই পুরস্কার পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপও।