• শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করল শ্রীলঙ্কাই

    জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করল শ্রীলঙ্কাই    

    জিম্বাবুয়ে ৫০ ওভারে ৩১০/৮ (মাসাকাদজা ১১১, মুসাকান্দা ৪৮; হাসারাঙ্গা ২/৪৪, গুনারত্নে ২/৫৩ )

    শ্রীলঙ্কা ৪৭.২ ওভারে ৩১২/২ (ডিকভেলা ১০২, গুনাতিলকা ১১৬; ওয়ালার ১/৩২)

    ফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী


    শ্রীলঙ্কার মাটিতে ৩০০র বেশি রান তাড়া করে জেতার কির্তি ছিল না কদিন আগেও। এই সিরিজেই সেটি প্রথম করে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এবার শ্রীলঙ্কাও এক ম্যাচ পরেই সেটির পুনরাবৃত্তি করল। জিম্বাবুয়ের ছুঁড়ে দেওয়া ৩১১ রানের লক্ষ্যটা পেরিয়ে গেছে ১৬ বল হাতে রেখেই।

    শ্রীলঙ্কার কাজটা আসলে সহজ করে দিয়েছেন দুই ওপেনারই। ৩১২ রানে তাড়া করতে নেমে জয়টা আসলে লিখে ফেলেছেন দুই ওপেনার নিরোশান ডিকভেলা ও দানুশকা গুনাতিলকাই। ৩৭ ওভারেই দুজন করেছেন ২২৯ রানের জুটি। তার আগে দুজনেই পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি। কাকতালীয়ভাবে, দুজনেই আবার আজ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। একটা সময় মনে হচ্ছিল, জয়াসুরিয়া-থারাঙ্গার ২৮৬ রানের বিশ্বরেকর্ডও হুমকির মুখে ফেলে দেবেন। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি, তবে তার শ্রীলঙ্কার হয়ে আরেকটি ২০০ রানের উদ্বোধনী জুটি ঠিকই হয়ে গেছে। ওয়ানডে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা এই কীর্তি গড়েছেন দশবার, আর কোনো দলের চার বারের বেশি সেটি নেই।

    তবে পর পর দুই ওভারে ডিকভেলা ও গুনাতিলকা আউট হয়ে যাওয়ার পর সামান্য একটু চাপে শ্রীলঙ্কা পড়ে থাকলেও সেটা এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন থারাঙ্গা-পেরেরা। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটিটাই পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।

    তবে জিম্বাবুয়ে একটু আফসোস করতেই পারে। ৩১২ রান বড় লক্ষ্য বটে, তবে একটা সময় অন্তত ৩৫০ রানের দিকেই ছুটছিল তারা। ২৬.৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ছিল ১ উইকেটে ১৬৬, সেখান থেকে অন্তত দ্বিগুণ রান তো হতেই পারত। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা তার একটু পরেই পেয়ে গেছেন নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি, জিম্বাবুয়েকে মনে হচ্ছিল অপ্রতিরোধ্য।

    কিন্তু দ্রুত কিছু উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। শেষ ১০ ওভারে ৮০ রান খুব খারাপ নয়, কিন্তু এই সময়ে ৪ উইকেট না হারালে শ্রীলঙ্কার রান আরও বড় হতে পারত। শেষ পর্যন্ত ৩০০ পার করার কৃতিত্ব রাজা ও পিটার মুরের, শেষ দিকে দুজন দ্রুত কিছু রান তুলেছেন।